ঢাকা | বঙ্গাব্দ

টিকটক কিনবেন না মাস্ক

ইলন মাস্ক বলেন, ‘টিকটক ব্যবহার করি না, টিকটক সম্পর্কে তেমন জানিও না, তাই এটি সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই।’
  • অনলাইন ডেস্ক | ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
টিকটক কিনবেন না মাস্ক ইলন মাস্ক

বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইলন মাস্ক স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকের মালিকানা কেনার কোনও পরিকল্পনা করছেন না বা টিকটকের কার্যক্রম অধিগ্রহণে তার কোন আগ্রহ নেই, খবর এএফপি’র।

 

জানুয়ারিতে জার্মানি থেকে ভিডিও লিংকে টিকটকের ব্যাপারে ইলন মাস্কের মন্তব্য সপ্তাহান্তে প্রকাশ পেয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত ওই মন্তব্যে মাস্ক বলেন, ‘টিকটকের জন্য কোনও বিড করিনি এবং এটি অধিগ্রহণে কোনও ইচ্ছে নেই। টিকটক আমার হাতে এলে কী করব তা নিয়েও কোনও পরিকল্পনা নেই।’ জানুয়ারির শেষ দিকে জার্মানির একটি ফোরামে ভিডিওলিংকের মাধ্যমে তিনি এই বক্তব্য দেন। 


টিকটক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে একটি কঠিন পরিস্থিতির মুখে রয়েছে। এটিকে তার চীনা মালিকানা বাইটড্যান্স থেকে সরে আসতে বলা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার কারণে মার্কিন আইন অনুসারে চীনা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে টিকটক বিক্রি করতে হবে, অন্যথায় এটি দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে টিকটককে তার কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।


প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসের দায়িত্বভার নেওয়ার পর এক আদেশে আইনটির বলবৎকরণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেন এবং এরপর তিনি জানান, টিকটক ইলনের জন্য উম্মুক্ত থাকবে, ইলন চাইলে তিনি টিকটক কেনার অনুমতি দেবেন। তবে মাস্ক এই প্রস্তাবে আগ্রহ দেখাননি। তবে মাস্ক বলেন, ‘টিকটক ব্যবহার করি না, টিকটক সম্পর্কে তেমন জানিও না, তাই এটি সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। এটি কেনার জন্য কোনও আগ্রহও বোধ করছি না।’


উল্লেখ্য, ২০২২ সালে মাস্ক টুইটার কিনে সেটির নাম পরিবর্তন করে ‘এক্স’ রাখেন। তিনি দাবি করেন, এটি কিনে তিনি বাকস্বাধীনতা রক্ষা করতে চান। তবে অধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, তার মালিকানায় আসার পর থেকে প্ল্যাটফর্মটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের পরিমাণ বেড়েছে।


মাস্ক বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের বাজেট কমানোর উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েন্সি’ (ডগে) বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীসংখ্যা কমিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করছে।


শনিবার একটি মার্কিন আদালত মাস্কের এই সংস্থাকে ট্রেজারি বিভাগের সংরক্ষিত লক্ষ লক্ষ মার্কিন নাগরিকের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য অ্যাক্সেস করা থেকে বিরত রাখার জন্য জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে। জার্মানির ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে মাস্ক ‘ডাইভারসিটি, ইকুইটি ও ইনক্লুশন’ (ডিইআই) কর্মসূচিরও সমালোচনা করেন, যা ঐতিহাসিকভাবে বৈষম্যের শিকার জনগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় পরিচালিত হয়। তিনি বলেন, ‘ডিইআই আসলে নতুন রূপ দেওয়া বর্ণবাদ। আমি যে কারও প্রতি বর্ণবাদ বা লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে।’


ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই সরকারি পর্যায়ে ডিইআই কর্মসূচি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর আওতায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বন্ধ করা, অনুদান বাতিল করা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। জার্মানিতে মাস্ক অভিবাসনবিরোধী উগ্র ডানপন্থী ‘আল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’ পার্টির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যা দেশটির নাৎসি অতীতের কারণে অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়।


সূত্র: এএফপি


এসজেড