ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সন্ধ্যার পর থেকে যেভাবে শুরু করবেন শবে বরাতের আমল

প্রথমে মাগরিবের নামাজ পড়ার পর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিয়ত করতে হবে যে, এই রাতে ইবাদত ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া হবে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
সন্ধ্যার পর থেকে যেভাবে শুরু করবেন শবে বরাতের আমল ফাইল ছবি

শবে বরাতের রাত ইবাদতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তাই সন্ধ্যার পর থেকেই মনোযোগ দিয়ে আমল শুরু করা উচিত। প্রথমে মাগরিবের নামাজ পড়ার পর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিয়ত করতে হবে যে, এই রাতে ইবাদত ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া হবে। মাগরিবের পর সূরা ইয়াসিন পড়া একটি উত্তম আমল, যদিও এটি বাধ্যতামূলক নয়। এরপর এশার নামাজ জামাতে আদায় করা উচিত, কারণ রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এশা ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে, সে পুরো রাত ইবাদত করার সওয়াব পায়।


এশার নামাজের পর ব্যক্তিগতভাবে নফল নামাজ আদায় করা যেতে পারে। দুই রাকাত করে যতটুকু সম্ভব তাহাজ্জুদ পড়া ভালো, বিশেষ করে শেষ রাতে। নফল নামাজে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস বেশি বেশি পড়া উত্তম। এছাড়া, আল্লাহর কাছে দোয়া ও ইস্তিগফার করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুল (সা.) শিখিয়েছেন, "আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাআফু আন্নি" অর্থাৎ "হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসো, আমাকে ক্ষমা করে দাও।"


কুরআন তিলাওয়াত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ। শবে বরাতের বরকতময় এই রাতে কুরআন পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সওয়াব অর্জন করা যায়। ব্যক্তিগত ও পরিবারের জন্য দোয়া করা উচিত, বিশেষ করে গুনাহ মাফ, রোগমুক্তি, রিজিকের বরকত ও জান্নাতের জন্য আল্লাহর কাছে কাকুতি-মিনতি করা যেতে পারে। বেশি বেশি দরুদ শরিফ পড়াও একটি উত্তম আমল, যা রাসুল (সা.) এর সুন্নত।


সর্বোত্তম ইবাদত হলো শেষ রাতে তাহাজ্জুদ আদায় করা এবং ফজরের আগে আল্লাহর কাছে কাঁদা। কারণ, শেষ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের ডেকে বলেন, "কেউ কি আছো যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করবো।" তাই যতটা সম্ভব দোয়া ও ইবাদতে মনোযোগী থাকা উচিত। রাতভর ইবাদত করার পর অবশ্যই ফজরের নামাজ জামাতে পড়তে হবে, কারণ এটিই রাতের ইবাদতের পূর্ণতা দান করে।


শবে বরাত উপলক্ষে কিছু বর্জনীয় কাজ থেকেও বিরত থাকা জরুরি। যেমন, মসজিদ সাজানো, দলবদ্ধভাবে কবর জিয়ারত করা, বিশেষ খাবার খাওয়াকে ধর্মীয় রীতি মনে করা, আতশবাজি বা অন্য কোনো উৎসবের আয়োজন করা এবং নির্দিষ্ট রাকাত নামাজ বাধ্যতামূলক মনে করা। শবে বরাত উপলক্ষে কোনো বিশেষ বিধান নেই, তবে যারা ইবাদত করতে চান, তারা কুরআন-হাদিস অনুযায়ী নফল আমল করতে পারেন। মূলত এই রাত আত্মশুদ্ধি ও গুনাহ মাফ চাওয়ার রাত, তাই মনোযোগ দিয়ে ইবাদতে লিপ্ত হওয়াই উত্তম।


thebgbd.com/NIT