ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চেরনোবিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ড্রোন হামলা

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা জানায়, স্থানীয় সময় রাত ২টার কিছু আগে চেরনোবিল সাইটে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
চেরনোবিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ড্রোন হামলা হামলার পর তোলা ছবি।

ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। আর এর জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে ইউক্রেন। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানায়। 


ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাতে একটি রাশিয়ান ড্রোন চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ নম্বর রিয়াক্টরের ওপরের সুরক্ষা কাঠামোতে আঘাত হানে। জেলেনস্কি বলেন, ড্রোন হামলায় সুরক্ষা কাঠামোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর ফলে আগুন ধরে যায়। পরে আগুন নেভানো হয়। এখন পর্যন্ত বিকিরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়নি এবং ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক মূল্যায়নে জানা গেছে সুরক্ষা কাঠামোর যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে।


এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’ (পূর্বের টুইটার) এর প্রকাশিত কয়েকটি স্যাটেলাইট ফুটেজে দেখা গেছে রুশ পতাকার মত কিছু একটা জড়ানো একটি ড্রোন সেখানে আছড়ে পড়তে। তবে রুশ কোনও ড্রোনে এখন পর্যন্ত এই ধরনের পতাকাসদৃশ কিছু দেখা যায়নি। ফুটেজ দেখে অনেকেই বিষয়টি সাজানো সন্দেহ করছেন এবং বলছেন, রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনাকে ভিন্নদিকে নেওয়ার জন্যই এই ‘সাজানো ড্রোন হামলা’।


আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা জানায়, স্থানীয় সময় রাত ২টার কিছু আগে চেরনোবিল সাইটে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। একটি ড্রোন এর ছাদে আঘাত করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরো বলেছেন, ইউক্রেন এই সুরক্ষা কাঠামো তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জনগণের নিরাপত্তার জন্য। শুধু মাত্র রাশিয়া এই ধরনের স্থানে হামলা করতে পারে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করতে পারে এবং কোনো প্রকার পরিণতি বিবেচনা না করে যুদ্ধ করতে পারে।


ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রি ইয়েরমাক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে রাশিয়া চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে হামলা চালিয়েছে এবং চেরনোবিল জোন দিয়ে কীভাবে ড্রোন চালাচ্ছে সেই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হবে। চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ড্রোন হামলার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


পারমাণবিক দুর্ঘটনায় পৃথিবীর অন্যতম তেজস্ক্রিয় স্থান এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি একটি আধুনিক সুরক্ষা-বর্ম দ্বারা আবৃত যা এর তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে দেয় না। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের ৪ নম্বর ইউনিটে বিস্ফোরণ ঘটে, যা সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইউরোপের কিছু অংশে তেজস্ক্রিয়তার মেঘ ছড়িয়ে দেয়। পরবর্তীকালে, এটিকে কংক্রিট ও ইস্পাতের একটি সুরক্ষা-বর্ম দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।


সূত্র: এএফপি


এসজেড