বর্তমান এমন কিছু কুসংস্কার প্রবেশ করেছে, যেগুলো মানুষকে ধীরে ধীরে শিরক এবং কুফুরিতে লিপ্ত করাতে পারে। মানুষের ঈমান-আমল বিনষ্টকারী কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।
কুসংস্কার হলো নিছক ধারণা ও কল্পনাভিত্তিক প্রমাণহীন বিশ্বাস এবং ওই বিশ্বাস অনুযায়ী ভিত্তিহীন প্রথা ও কর্ম। কোরআন ও সুন্নাহর আলো থেকে বঞ্চিত ব্যক্তিরাই কুসংস্কারে আক্রান্ত। আধুনিক যুগে বহু মানুষ কুসংস্কারের চাদরে আবৃত। কুসংস্কারের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসাই ঈমানের দাবি। সমাজে প্রচলিত অনেক ধরনের কুসংস্কার কথা আছে যা আমরা সবসময় বলে থাকি।
প্রচলিত এসব কুসংস্কার থেকে মানুষকে সতর্ক করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কারগুলো উল্লেখ করা হলো:
১. পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে।
২. জোড়া কলা খেলে জমজ সন্তান জন্ম নেয়।
৩. ঘরের ময়লা পানি রাতে ঘরের বাইরে ফেলতে হয় না, তাতে সংসারে অমঙ্গল হয়।
৪. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পেছন থেকে ডাক দিলে তার যাত্রা অশুভ হয়।
৫. কোরআন শরীফ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল ‘সদকা’ করতে হয়, না হলে মাথার চুল উঠে যায়।
৬. ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে তা ইঁদুরের গর্তে ফেলতে হয়, না হলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়।
৭. ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হয়।
৮. ভাঙা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না, তাতে অমঙ্গল হয়, চেহারার ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়।
৯. ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসে, আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসে।
১০. শকূন ডাকলে বা দেখলে কেউ মারা যাবে, এটা মনে করা।
১১.কেউ গুণী হলে তাকে লক্ষী বলা।
এছাড়া এলাকাভেদে আরও অনেক কুসংস্কারের প্রচলন রয়েছে। আমাদের উচিত এসব কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকা। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে প্রচলিত এ সব কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকার তওফিক দান করুন। আমিন।
thebgbd.com/NA