ঢাকা | বঙ্গাব্দ

দিল্লিতে চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রেখা

মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত-সহ যে সাত জন বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে এক মাত্র কপিল মিশ্রের মন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
দিল্লিতে চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রেখা মোদির সঙ্গে রেখা

২৭ বছর পরে আবার দিল্লিতে ক্ষমতাসীন হল বিজেপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত এবং তার মন্ত্রিসভার ছ’জন সদস্য উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার কাছে শপথবাক্য পাঠ করলেন রামলীলা ময়দানে।


নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন এবারের বিধানসভা ভোটে নয়াদিল্লি আসনে আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারানো জাঠ নেতা প্রবেশ সাহিব সিংহ বর্মা, জনকপুরীর সাংসদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ’ আশিস সুদ, প্রভাবশালী শিখ নেতা রাজৌরি গার্ডেনের সাংসদ মনজিন্দর সিংহ সিরসা। দলিত সাংসদ (বাওয়ানা) রবীন্দ্র ইন্দ্রজ সিংহ, প্রাক্তন আপ মন্ত্রী কারাওয়াল নগরের সাংসদ কপিল মিশ্র, বিকাশপুরীর সাংসদ পুর্বাঞ্চলীয় রাজপুত জনগোষ্ঠীর নেতা পঙ্কজকুমার সিংহ। 


জাঠ নেতা প্রবেশের নাম মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ছিল গোড়া থেকেই। তার প্রয়াত পিতা সাহিব সিংহ বর্মা নব্বইয়ের দশকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। গোয়া বিজেপির সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আশিস এবং প্রাক্তন আকালি দলের নেতা মনজিন্দরকে পাঞ্জাবের বিধানসভা ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখেই মন্ত্রী করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। অন্য দিকে, পূর্বাঞ্চলীয় পঙ্কজকে মন্ত্রী করার নেপথ্যে রয়েছে চলতি বছরের বিহারের বিধানসভা ভোট। 


সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী, বিধানসভার সাংসদ সংখ্যার মধ্যে মোট ১৫ শতাংশ মন্ত্রী হতে পারেন। ৭০ সদস্যের দিল্লি বিধানসভায় রেখাকে নিয়ে ১১ জনের মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার সুযোগ আছে। ২০২০ সালে অরবিন্দ কেজরিওয়াল মন্ত্রিসভায় ছিলেন ১০ জন। প্রথম বারের সাংসদকে যে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করা যায়, রাজস্থানে ১৪ মাসে আগেই তা করে দেখিয়েছেন মোদি-শাহ। বেছে নেন ভজনলাল শর্মাকে। ২৭ বছর পরে ক্ষমতা দখলের পরে এ বার দিল্লিতেও প্রথম বারের সাংসদ রেখার উপরেই ভরসা রেখেছেন তারা। ঘটনাচক্রে, যিনি এখনও দিল্লি পৌরসভার কাউন্সিলর। শালিমার বাগ আসন থেকে প্রথম বার সাংসদ হলেও দিল্লির পৌরভোটে টানা তিন বার জিতেছেন রেখা।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাশাপাশি বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও (ব্যতিক্রম, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ) ছিলেন মন্ত্রিসভার শপথে। ছিলেন সহযোগী টিডিপির চন্দ্রবাবু নায়ডু, জনসেনার পবনকল্যাণ, এনসিপির অজিত পওয়ার, এনপিপির কনরাড সাংমা, আপনা দলের অনুপ্রিয়া পটেল, শিবসেনার একনাথ শিন্দে। এ ছাড়া প্রায় ৩০ হাজার আমজনতার ভিড় হয় রামলীলা ময়দানে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি ছিল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমারের। ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আপ প্রধান কেজরীওয়ালের শপথে আমন্ত্রণ পেয়েও এড়িয়ে যান মোদি।


৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয় ৪৮টিতে। মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা নিজে জিতলেও, টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর হেরে গিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ। তারা পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন। এর ফলে দেশে একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে যাবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় সেই সম্ভাবনায় পানি ঢেলে দিয়ে রেখার নাম ঘোষণা করে বিজেপি। বৃহস্পতিবার রেখা শপথ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে।


সূত্র: পিটিআই


এসজেড