বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, যদি শেষ বাধায়ও মহামারি মোকাবেলায় চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ইতিহাস কোনও দেশকে ক্ষমা করবে না। সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস আলোচনার ধীরগতি এবং সময় শেষ হয়ে আসার বিষয়ে এই মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, দেশগুলো ভবিষ্যতের মহামারি মোকাবেলায় একসঙ্গে একটি যুগান্তকারী চুক্তি সম্পাদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, কারণ তারা আলোচনার শেষ সপ্তাহটি শেষ করেছে। জেনেভায় সংস্থার সদর দপ্তরে আলোচনার শেষ পর্ব শেষ হওয়ার পর ঘেব্রিয়েসুস বলেছেন, ‘আপনারা অগ্রগতি করেছেন, হয়ত যতটা আশা করেছেন ততটা নাও হতে পারে, তবুও অগ্রগতি আছে’।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আছি যখন আপনি মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র বার্ষিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সমাবেশের সময় মহামারি চুক্তি চূড়ান্ত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন’। টেড্রোস দেশগুলোকে অনুরোধ করেছেন যে, তারা যেন চুক্তিতে কোনো শব্দ, কমা বা শতাংশের ওপর জোর না দেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা যদি ব্যর্থ হই, তাহলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না’।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ ত্যাগ করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছে, তারা চুক্তি আলোচনায় আর কোনো ভূমিকা পালন করবে না। ইউরোপীয় কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের সরে যাওয়ার ফলে চুক্তির আশা কমেনি। টেড্রোস শুক্রবার জোর দিয়ে বলেছেন, ‘বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি মহামারি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে আশা জাগিয়েছে।’
২০২১ সালের ডিসেম্বরে কোভিড-১৯ বিশ্বের অনেক দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিকল করেছে এবং অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। মারা যায় লক্ষ লক্ষ লোক। সেসব দেশ মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত একটি চুক্তির খসড়া তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ব্রিটেন এবং মেক্সিকোসহ ১১টি দেশের পক্ষে বক্তব্য রেখে ফিলিপাইন বলেছে, এই সপ্তাহে কেবল ‘ক্রমবর্ধমান উন্নতি’ সত্ত্বেও দেশগুলো আশাবাদ বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট কাজ করেছে।
সূত্র: রয়টার্স
এসজেড