কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি)-তে অধ্যায়নরত নেপালি ছাত্রীর আত্মহত্যা এবং তারপর প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভরত সেই দেশের শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় দোষী কাউকে ছাড়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উড়িষ্যার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী সূর্যবংশী সুরজ।
এরই মধ্যে ভুবনেশ্বরের ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্তত দেড়শো শিক্ষার্থী নেপালে ফিরেছেন। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন এবং পড়াশোনার জন্য ভারতে ফিরতে চান না বলে জানিয়েছেন তারা। প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের যাতে নেপালের কোনও কলেজে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়, সে জন্য নেপাল সরকারকে তারা আবেদনও জানিয়েছেন।
কেআইআইটি-র ছাত্রীর আত্মহত্যার পরে তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকা এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। নেপালের বাকি শিক্ষার্থীরা সোমবার অবস্থান ধর্মঘটে বসলে কলেজ কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তারক্ষী এবং বাউন্সাররা চড়াও হয়ে মারধর করেন। বিক্ষোভ দেখানোয় কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করায় তারা দেশে ফিরে যান।
তাদের বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করে দেওয়া নেপালের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানায়, ওই ছাত্রছাত্রীরা খুব আতঙ্কে আছেন। অনেকে গুরুতর আহত। কাঠমান্ডুতে সাংবাদিকদের সামনে মাস্কে মুখ ঢেকে আসা পড়ুয়াদের মধ্যে এক ছাত্র বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষ ফিরতে বলছেন। কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে কে?’
বস্তুত কেন্দ্র ও রাজ্যের ধমকের পরেই নেপালের শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিধানসভায় বিরোধী সাংসদরা ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত চান। রাজ্য জানিয়েছে, উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। দশজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। কলেজের কর্ণধার ও কলেজ কমিটির শীর্ষকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সূত্র: পিটিআই
এসজেড