ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির কথাবার্তায় মানুষ কনফিউজড: তারেক রহমান

তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির কথাবার্তা দেখে মনে হচ্ছে, তারা সম্ভবত তাদের লক্ষ্য থেকে কিছুটা বিচ্যুত হচ্ছেন।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির কথাবার্তায় মানুষ কনফিউজড: তারেক রহমান ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির কথাবার্তা দেখে মনে হচ্ছে, তারা সম্ভবত তাদের লক্ষ্য থেকে কিছুটা বিচ্যুত হচ্ছেন। বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন স্টেটমেন্ট থেকে কনফিউশন তৈরি হচ্ছে, মানুষ কনফিউজড হচ্ছে।’ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বার আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত ৩১ দফা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “একটু পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, বিগত ১৫-১৬ বছরে প্রত্যেকটি সেক্টরে কী অরাজকতা হয়েছে, কী অন্যায় হয়েছে, তা আপনাদের স্মৃতিতে রয়ে গেছে।


আপনারা বিভিন্ন নির্যাতন-অত্যাচারের কাহিনি শুনেছেন। বর্তমানে আলোচিত শব্দ ‘বৈষম্যের’ শিকার হয়েছেন। বিএনপিসহ যেসব দল মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিল, তাদের নেতাকর্মীদের কী অবস্থা হয়েছে, আপনারা চাক্ষুষ দেখেছেন। সব ক্ষেত্রে একটা ভঙ্গুর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”


তিনি বলেন, ‘যে সময় কেউ সাহস করেনি, তখন বিএনপি ৩১ দফা উপস্থাপন করেছে। আজ যারা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তাদের অনেকেই তখন সংস্কারের ধারে-কাছেও ছিলেন না।’


তিনি আরো বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না এলে কোনো সংস্কার প্রস্তাবই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সরকারের কিছু ব্যক্তির কথাবার্তায় মনে হচ্ছে তারা তাদের মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছেন।’ দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে আনতে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের তাগিদ দেন তিনি।


তারেক রহমান বলেন, ‘কোন নির্বাচন আগে হবে, কোন নির্বাচন পরে হবে—এমন দাবি থাকতেই পারে। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা বিবেচনা করতে হবে। আমরা বাইরে তাকালে বিভিন্ন অস্থিরতা দেখতে পাই। অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে, দেশের মানুষ যে সিদ্ধান্ত নিতে চায়, সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করা এবং দেশের মানুষকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করা।


আমরা লক্ষ করছি, সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির কথাবার্তা দেখে মনে হচ্ছে তারা সম্ভবত তাদের লক্ষ্য থেকে কিছুটা বিচ্যুত হচ্ছেন। বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন স্টেটমেন্ট থেকে কনফিউশন তৈরি হচ্ছে, মানুষ কনফিউজড হচ্ছে।’


‘রাজনীতিতে যখন কনফিউশন থাকবে, তখন অস্থিরতা তৈরি হবে। অস্থিরতা যদি থাকে, আমরা যে যতই সংস্কারের কথা বলি না কেন, কোনোটাই সফল হবে না। রাজনীতি অস্থির হলে, এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে, আর অর্থনীতির প্রভাব পড়বে সব কিছুতে। তার অন্তর্বর্তী সরকারসহ সব মানুষের এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশকে যত দ্রুত সম্ভব একটি স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসা,’ বলেন তিনি।



thebgbd.com/NA