অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি নতুন নীতির কথা ঘোষণা করেন। এ বার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেতে হলে গুনতে হবে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওই পরিমাণ অর্থ দিলেই মিলবে ‘গোল্ড কার্ড’, যা যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্বের প্রমাণ। এত দিন ‘গ্রিন কার্ড’-এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীরা নাগরিকত্ব পেতেন। এ বার চালু হতে চলেছে ‘গোল্ড কার্ড’। এই কার্ড ‘গ্রিন কার্ড’-এরই ‘প্রিমিয়াম’ সংস্করণ।
ট্রাম্পের কথায়, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রে গোল্ড কার্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছি। এতে গ্রিন কার্ডের সুবিধাও মিলবে, যা যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্বের নতুন পথ খুলে দেবে। ধনী ব্যক্তিরা এই কার্ড কিনে আমাদের দেশে আসতে পারবেন। এখানে এসে তারা প্রচুর অর্থ ব্যয় করবেন, কর দেবেন, সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানও তৈরি করবেন। এ দেশে এসে তারা সফল হবেন।’
কবে থেকে ‘গোল্ড কার্ড’ চালু হবে? ট্রাম্প জানান, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে। এর জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন না ট্রাম্প। তবে কী ভাবে ‘গোল্ড কার্ড’ পাওয়া যাবে বা প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও ধারণা দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
অনেকের মতে, নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ চালু হলে বর্তমান ‘ইবি-৫ প্রোগ্রাম’-এর উপর প্রভাব পড়তে পারে। উল্লেখ্য, ‘ইবি-৫ প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে অভিবাসী বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড পেয়ে থাকেন। নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ চালু হলে ‘ইবি-৫ প্রোগ্রাম’ আর থাকবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। ‘গোল্ড কার্ড’ থেকে প্রাপ্ত অর্থ সরাসরি সরকারি তহবিলে পৌঁছবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ঘাটতি মেটাতে এটি কাজে লাগবে বলেই জানাচ্ছে সে দেশের প্রশাসনের একাংশ।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেই সঙ্গে কঠোর শুল্ক নীতিরও কথা ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘যে দেশ মার্কিন পণ্যের উপর যত বেশি শুল্ক বসাবে, সেই দেশের পণ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্রও ততই শুল্ক নেবে।’ শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন দেশে অনুদান দেওয়ার ব্যাপারেও কড়া পদক্ষেপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই ধারাতেই এ বার ‘গোল্ড কার্ড’ চালু হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
সূত্র: সিএনবিসি
এসজেড
