ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নেপালে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প

বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) রাত ২টা ৫১ মিনিট -এ হঠাৎই কেঁপে ওঠে হিমালয়ের কোলে থাকা নেপালের মধ্য এবং পূর্বাংশ।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
নেপালে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প আফটরশক আতঙ্কে বাসিন্দারা।

গভীর রাতের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে নেপাল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.১। বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) রাত ২ট ৫১ মিনিটে হঠাৎই কেঁপে ওঠে হিমালয়ের কোলে থাকা এই দেশটির মধ্য এবং পূর্বাংশ। ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালের সিন্ধুপালচক জেলার ভৈরবকুণ্ড। কম্পনের উৎপত্তিস্থল মাটির অন্তত ১০ কিলোমিটার গভীরে। 


নেপালের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষক এবং গবেষণা সংস্থা কম্পনের মাত্রা ৬.১ বলে জানালেও জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিয়োসায়েন্স জানিয়েছে, এটির মাত্রা ৫.৬। ভারতের জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি এবং মার্কিন জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, কম্পনের মাত্রা ৫.৫।


কম্পন সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়েছে নেপাল-তিব্বত সীমান্তে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। এখনও পর্যন্ত এই ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। তবে স্থানীয় প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করছে বলে জানা গেছে। নেপাল পুলিশের ডিআইজি দীনেশ কুমার আচার্য জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের উৎসস্থল সংলগ্ন এলাকা কিংবা বাকি দেশে ভূমিকম্পের কারণে কেউ হতাহত হয়েছেন বলে খবর আসেনি। তবে সিন্ধুপালচক জেলার এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জোরালো কম্পনে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। বাসিন্দারা ভয়ে বাড়ির বাইরে চলে আসেন।


নেপাল এমনতিই বিশ্বের অন্যতম ভূকম্পপ্রবণ দেশ। অবস্থানগত দিক থেকে দেশটি ‘সিসমিক জোন’ ৪ এবং ৫-এর মধ্যে পড়ে। কোনও এলাকা ‘সিসমিক জোন’ ৫-এর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অর্থ সেখানে কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কোন অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা কতটা রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে এই অঞ্চলগুলিকে ভাগ করা হয়। ২০১৫ সালে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৯০০০-এরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। ভেঙে পড়ে বহু ঘরবাড়ি এবং স্থাপত্য। এর পরেও নেপালে একাধিক ছোট এবং মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।


সূত্র: এএফপি


এসজেড