ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের শুনানি আগামী ৮ মে নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (২ মার্চ) সকালে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আজ ২ মার্চ মামলাটি কার্যতালিকায় থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাওয়ায় শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। রিভিউ আবেদনের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানি স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক একটি সংক্ষিপ্ত রায়ে দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার পরামর্শ দেন। তবে অবসরের ১৬ মাস পর প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে তিনি এই ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেন। এরপর, আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করে।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৯৬ সালে সংসদে ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করা হয়। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করেন।
পরে, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন। এই রায়ের পর ২০১১ সালের ৩০ জুন সংসদে ১৫তম সংশোধনী আইন পাস করা হয় এবং ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়।
পরে, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
thebgbd.com/NIT