এক ফোঁটাও জ্বালানি দেওয়া হবে না মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলিতে! স্পষ্ট জানিয়ে দিল নরওয়ের অন্যতম বৃহৎ তেল এবং জাহাজ কোম্পানি। কেন এমন সিদ্ধান্ত তাও স্পষ্ট করা হয়েছে। ইউক্রেনের পাশে থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার কথা বলেছে ওই কোম্পানি। নরওয়ের অন্য জ্বালানি প্রদানকারী কোম্পানিগুলিকেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বাস্তবে যদি সত্যিই নরওয়ের কোম্পানিগুলি জ্বালানি সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তে এক মত হয়, তবে বিপদে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির প্রকাশ্য বিতণ্ডায় শোরগোল বিশ্ব জুড়ে। অনেক ইউরোপীয় নেতাই ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপীয় বন্ধু দেশগুলোই জেলেনস্কিকে সমর্থন করেছেন। এমনকি, ব্রিটেন ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে ২৮০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এবার নরওয়ের জ্বালানি কোম্পানি হাল্টবাক বাঙ্কার্স ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছে ।
ওই কোম্পানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দীর্ঘ বিবৃতি দিয়ে মার্কিন জাহাজে জ্বালানি দেওয়া বন্ধের কথা ঘোষণা করে। যদিও পরে ওই পোস্ট মুছে ফেলা হয়। কোম্পানির বিবৃতিতে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে। তাদের কথায়, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের ক্রমাগত আক্রমণের সামনেও নিজেকে সংযত রাখার জন্য ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের কৃতিত্ব প্রাপ্য।’ তারপরই হাল্টবাক বাঙ্কার্স জানায়, তারা নরওয়ের আসা কোনও মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজকে জ্বালানি সরবরাহ করবে না। নরওয়ে এবং ইউরোপের অন্য জ্বালানি কোম্পানিগুলিকে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
অনেকের মতে, এই পদক্ষেপ মার্কিন সেনাবাহিনীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যদি ইউরোপের অন্য কোম্পানিগুলিও একই পদক্ষেপ নেয় তবে বিপদে পড়তে পারে আমেরিকা। কারণ জ্বালানির চাহিদা মেটাতে তাদের বাণিজ্যিক সরবরাহকারীদের উপর নির্ভর করতে হয়।
সূত্র: রয়টার্স
এসজেড