ঢাকা | বঙ্গাব্দ

শেষ দেখে ছাড়বে চীন

ট্রাম্পের হুমকির পরেই যুক্তরাষ্ট্র চীনা দূতাবাস থেকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে দেওয়া হয়।
  • অনলাইন ডেস্ক | ০৬ মার্চ, ২০২৫
শেষ দেখে ছাড়বে চীন শি জিনপিং

যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে চাইলে চীনও শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘিরে বিতর্কে নিজ অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছে চীন। সামাজিক মাধ্যমে চীনা দূতাবাস লিখেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধই চায়, তা শুল্কযুদ্ধ হোক, বা বাণিজ্য যুদ্ধ কিংবা অন্য কোনও যুদ্ধ হোক, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে তৈরি আছি।’


বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণ দেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষণে এসেছে শুল্কনীতির প্রসঙ্গ। চীনসহ বিভিন্ন দেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ট্রাম্প জানান, দেশগুলি যুক্তরাষ্ট্রর উপর যত বেশি শুল্ক চাপাবে, যুক্তরাষ্ট্রও তত শুল্ক চাপাবে। বস্তুত, ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর পরে ‘পাল্টা’ পদক্ষেপ করেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রর বেশ কিছু খাদ্যপণ্য এবং বস্ত্রের উপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করেছে বেইজিং। 


বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন ট্রাম্প আবারও চীন, ব্রাজিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাম উল্লেখ করে শুল্কনীতি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন। ট্রাম্পের হুমকির পরেই যুক্তরাষ্ট্র চীনা দূতাবাস থেকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে দেওয়া হয়।


চীনা পণ্যের উপর ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর নেপথ্যে অন্যতম কারণ মাদকদ্রব্য ফেন্টানাইল। ওয়াশিংটনের বক্তব্য, সীমান্ত দিয়ে ফেন্টানাইল পাচার বন্ধ করতেই শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেইজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এর আগে ট্রাম্প জানান, চীনের বহু অবৈধ ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করলেও বেইজিং কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। যত দিন না এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তত দিন পর্যন্ত চীনা পণ্যে শুল্ক চাপানো হবে।


যদিও চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বক্তব্য, ‘চীনা পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর জন্য ফেন্টানাইল প্রসঙ্গকে স্রেফ একটি অযৌক্তিক অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইল সংক্রান্ত সমস্যার দায় অন্য কোনও দেশের উপর চাপানো যায় না। এর জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্রই।’ বেইজিং আরও জানিয়েছে, মানবিক দিক থেকে এই সমস্যা সমাধানের জন্য চীন যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করতে চায়। কিন্তু সেই উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেওয়ার বদলে যুক্তরাষ্ট্র চীনের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। চীনা পণ্যে শুল্ক চাপানোকেও এক প্রকার ‘হুমকি’ হিসাবেই দেখছে বেইজিং।


সূত্র: শিনহুয়া


এসজেড