রমজানে কুরআন শরিফ পড়ার বিশেষ গুরুত্ব এবং সাওয়াব রয়েছে। কুরআন হল আল্লাহর বাণী, যা রমজানে নাজিল হয়েছে, তাই এই মাসে কুরআন তিলাওয়াতের সাওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— "রমজান মাসে কুরআন তিলাওয়াতের সাওয়াব অন্য মাসের তুলনায় বেশি।" (বুখারি)
এছাড়াও কুরআন তিলাওয়াতের সাওয়াব সম্পর্কে আরও কিছু হাদিসে বলা হয়েছে:
"যে ব্যক্তি কুরআন পড়বে, সে যেন আল্লাহর কাছে পুরস্কৃত হবে।" (তিরমিজি)
"কুরআন তিলাওয়াত করার এক অক্ষর সাওয়াব প্রদান করা হবে, আমি বলছি না যে, 'আলিফ-লাম-মিম' একটি অক্ষর, বরং 'আলিফ' একটি অক্ষর, 'লাম' একটি অক্ষর, 'মিম' একটি অক্ষর।" (তিরমিজি)
কুরআন পড়ার বিশেষ ফজিলত রমজানে
শক্তি ও সাহস বাড়ে: কুরআন তিলাওয়াত মনকে শান্তি এবং সাহস প্রদান করে, যা রোজার সময় শরীর ও মনকে চাঙা রাখতে সহায়তা করে।
প্রতিটি অক্ষরের সাওয়াব: রমজানে কুরআন তিলাওয়াতের সময় প্রতিটি অক্ষরের জন্য আলাদা সাওয়াব পাওয়া যায়। বিশেষ করে কুরআন পড়ার ফলে রোজার সাওয়াবের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
দোয়ায় উত্তর পাওয়া: কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয় এবং মুমিনের দোয়া ও প্রার্থনা আল্লাহ তাআলা বেশি গ্রহণ করেন।
পাপমুক্তি: কুরআন তিলাওয়াত একটি বড় ইবাদত হিসেবে কাজ করে, যা পাপমুক্তি ও আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ ঘটায়।
রমজানে কুরআন পড়া একটি মহান আমল, যা মুমিনকে আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত করতে সাহায্য করে। সেহরি ও ইফতার সময়ের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াত করার মাধ্যমে ব্যক্তি তার রোজা আরো বেশি সওয়াব লাভ করতে পারে।
thebgbd.com/NIT