পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে ইরানকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৭ মার্চ) এক সাক্ষাৎকারে চিঠির বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ট্রাম্প আরওও জানান, যদি ইরান আলোচনায় না বসে তবে তার ‘ফল’ খুব খারাপ হবে!
‘ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ক’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি আশা করেন ইরান আলোচনার টেবিলে বসবে। চিঠির কথা উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আশাবাদী ইরান আলোচনায় রাজি হবে। কারণ সেটা ওদের পক্ষে ভাল।’ তবে ইরান যদি প্রস্তাব মেনে আলোচনায় না বসে বিকল্প পথের কথা ভাবে, তা মোটেই ফল ভাল হবে না বলেও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ইরান যদি বিকল্প ভাবে, তবে অবশ্যই আমরাও তাই। কখনই তাদের পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে দিতে পারি না।’
ইরান প্রশাসনের কাকে চিঠি দিয়েছেন ট্রাম্প, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে মনে করা হচ্ছে সে দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ্ আলি খামেনীকেই চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউস এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দেয়নি।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ইরানের পরমাণু কর্মসূচির পরিস্থিতি সমাধানের বিষয়ে সে দেশের প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাশিয়ার উপ-বিদেশমন্ত্রী সের্গেই রিয়াকভের সঙ্গে ইরানের রাষ্ট্রদূত কাসেম জালালির সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
২০১৫ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জমানায় ইরানের সঙ্গে তিন বছরের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি করে ছয় শক্তিধর রাষ্ট্র ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র। ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত ওই চুক্তিতে ঠিক হয়, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি বন্ধ রাখলে তেহরানের উপর বসানো বিপুল আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বেশ কিছু দেশ।
২০১৮ সালের মে মাসে হোয়াইট হাউসের থেকে একটি টুইট করে বলা হয়, ‘মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।’ জো বাইডেনের সময়ে ইরানের সঙ্গে নতুন করে পরমাণু সমঝোতার পথে চললেও ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে সুর চড়াতে শুরু করেন।
সূত্র: স্কাই নিউজ
এসজেড