রোজা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করা নিয়ে ইসলামী ফিকহে ভিন্নমত রয়েছে। তবে বেশিরভাগ আলেমের মতে, ইনহেলার ব্যবহারের ফলে রোজা ভেঙে যায়, কারণ এটি সরাসরি ফুসফুসে ওষুধের ক্ষুদ্র কণাগুলো পৌঁছে দেয়, যা পানাহারের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তবে কিছু আলেম ইনহেলারকে নিঃশ্বাসের মতো মনে করে রোজা না ভাঙার পক্ষে মত দিয়েছেন।
যেসব ক্ষেত্রে ইনহেলার রোজা ভাঙবে না: যদি এটি শুধুমাত্র বায়ু জাতীয় কোনো বস্তু হয় এবং এতে পানীয় বা খাদ্য উপাদান না থাকে।
যেসব ক্ষেত্রে ইনহেলার রোজা ভেঙে যাবে:
যদি এতে ওষুধ বা তরল পদার্থ থাকে, যা সরাসরি শ্বাসনালী ও পাকস্থলীতে প্রবেশ করে।
যদি কারো জন্য ইনহেলার অপরিহার্য হয়?
যদি কোনো রোজাদারের শ্বাসকষ্ট তীব্র হয় এবং ইনহেলার ছাড়া বিপদে পড়েন, তাহলে তিনি ইনহেলার ব্যবহার করতে পারবেন এবং পরে কাজা রোজা রাখবেন।
একান্ত প্রয়োজনে তিনি ইসলামী বিধান অনুসারে ফিদইয়া (ক্ষতিপূরণ) বা কাফফারা দিতে পারেন।
যদি সম্ভব হয়, তাহলে সেহরির আগে ও ইফতারের পর ইনহেলার ব্যবহার করুন।
যদি তা সম্ভব না হয় এবং ইনহেলার অপরিহার্য হয়, তাহলে রোজা ভেঙে গেলে পরবর্তী সময়ে কাজা রাখা উত্তম।
এক্ষেত্রে স্থানীয় আলেমদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন এবং সুস্থ রাখুন। আমিন!
thebgbd.com/NIT