ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে রাশিয়া। বুধবার (১২ মার্চ) এমনই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন মার্কি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ চলতি সপ্তাহের শেষে যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য মস্কো যাবেন।
রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর স্পষ্ট ভাষায় এ কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এই পরিস্থিতিতে তিন বছরের রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে সাময়িক বিরতি হবে কি না, তা নির্ভর করছে ক্রেমলিনের উপর। তাই ভ্লাদিমির পুতিনের উপর চাপ বাড়াতে ওভাল অফিসে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প ওই মন্তব্য করেছেন বলে অনেকের ধারণা।
রুশ সরকারের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বুধবার জানায়, পুতিন সম্ভবত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন না। ঘটনাচক্রে, তারপরেই ট্রাম্প ওই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মস্কোকে। রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধবিরতিতে জেলেনস্কির সম্মতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আশাপ্রকাশ করেন যে মস্কোও এতে ইতিবাচক সাড়া দেবে।
ওয়াশিংটন থেকে সংবাদমাধ্যমকে ট্রাম্প বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এবার রাশিয়ার পালা। আশা করি, পুতিনও এতে সম্মত হবেন। দুই দেশেই বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। আমরা এই যুদ্ধের অবসান চাই।’ এরপরেই তার মন্তব্য, ‘রাশিয়া যদি ইউক্রেনে সামরিক হামলা অব্যাহত রাখে তবে তারা গুরুতর অর্থনৈতিক পরিণতির মুখোমুখি হতে পারে।’
সূত্র: রয়টার্স
এসজেড
