ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রোজাবস্থায় পেট খারাপ হলে করণীয়

রোজাবস্থায় পেট খারাপ হলে কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি।
  • | ১৩ মার্চ, ২০২৫
রোজাবস্থায় পেট খারাপ হলে করণীয় রোজাবস্থায় পেট খারাপ হলে করণীয়

রোজাবস্থায় পেট খারাপ হলে কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি, যাতে শরীর দুর্বল না হয়ে যায় এবং রোজাও ঠিকভাবে পালন করা যায়।


পেট খারাপের সাধারণ কারণ:


বেশি তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া


অপরিষ্কার বা দূষিত খাবার গ্রহণ


পানি কম খাওয়া


দুগ্ধজাত খাবার বা রাসায়নিকযুক্ত জুস


ইনফেকশন বা ফুড পয়জনিং


পেট খারাপ হলে করণীয়:


পর্যাপ্ত পানি ও তরল গ্রহণ করুন


ইফতার ও সেহরিতে বেশি পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। ডাবের পানি, লবণ-চিনির শরবত বা ওআরএস খেলে শরীরে পানিশূন্যতা কমবে।


হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান


ইফতার ও সেহরিতে ভাতের পরিবর্তে খিচুড়ি, ভাত-ডাল বা নরম খাবার খান। টকদই, কলা, সেদ্ধ ডাল-ভাত হজমে সহায়ক হতে পারে।


তেল-মসলাযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন


অতিরিক্ত তেল-মশলা খাবার গ্যাস ও ডায়রিয়া বাড়াতে পারে। ফাস্টফুড, চটপটি, ফুচকা বা কার্বোনেটেড পানীয় এড়িয়ে চলুন।


প্রোবায়োটিক খাবার গ্রহণ করুন


টকদই, ছানা বা দই-মুড়ি খেলে পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ে এবং হজম ভালো হয়।


ওষুধ সেবনের বিষয়ে সতর্কতা


অতিরিক্ত পেট খারাপ হলে ইফতারের পর স্যালাইন, ইলেক্ট্রোলাইট দ্রবণ বা প্রয়োজনীয় ওষুধ নিতে পারেন। তবে ক্রমাগত সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


অতিরিক্ত দুর্বল বোধ করলে রোজা ভাঙার ব্যাপারে ভাবুন


যদি খুব বেশি পানিশূন্যতা হয়, মাথা ঘোরে বা অসুস্থতা বেড়ে যায়, তাহলে শরীরের সুস্থতা বিবেচনায় রোজা ভাঙার বিষয়ে আলেম বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ইসলাম ধর্মে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা ভাঙার অনুমতি আছে এবং পরবর্তী সময়ে কাযা রাখা যায়।


যা করবেন না:


বেশি চা-কফি খাবেন না (পানি শূন্যতা বাড়ায়)।


দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাবেন না (অনেকের ক্ষেত্রে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বাড়তে পারে)।


অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার বা টক জাতীয় খাবার খাবেন না।


যদি তিন দিনের বেশি পেট খারাপ থাকে বা অবস্থা গুরুতর হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।