কোনো ব্যক্তি যদি ন্যায়সঙ্গত বা বৈধ কারণে রোজা রাখতে না পারেন বা রোজা ভেঙে ফেলেন, তবে পরবর্তী সময়ে সেই রোজা পুনরায় রাখা (আদায় করা) জরুরি। একে কাযা রোজা বলা হয়।
যেসব কারণে কাযা রোজা রাখতে হয়:
সফর বা মুসাফির হলে – ভ্রমণের কারণে রোজা না রাখতে পারলে পরে কাযা করতে হবে।
অসুস্থ হলে – অসুস্থতার কারণে রোজা না রাখলে সুস্থ হয়ে তা কাযা করতে হবে।
গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মা – যদি রোজা রাখলে মা বা সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা হয়, তবে পরবর্তী সময়ে কাযা আদায় করতে হবে।
মাসিক বা প্রসবজনিত রক্তস্রাব – নারীদের মাসিক বা প্রসবজনিত রক্তস্রাব চলাকালে রোজা রাখা নিষিদ্ধ, তাই পরবর্তী সময়ে কাযা করতে হবে।
বাধ্য হয়ে রোজা ভেঙে ফেলা – যদি কেউ জোরপূর্বক বা অনিচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভেঙে ফেলতে বাধ্য হন, তবে পরে কাযা করতে হবে।
অনিচ্ছাকৃত বমি হওয়া বা অসুস্থতায় ভেঙে ফেলা – যদি শারীরিক দুর্বলতার কারণে রোজা রাখা সম্ভব না হয়, তবে পরবর্তী সময়ে কাযা করতে হবে।
কাযা করার নিয়ম:
রমজানের পর সুবিধাজনক সময়ে ছুটে যাওয়া রোজাগুলো পূরণ করতে হবে।
ধারাবাহিকভাবে রাখা বাধ্যতামূলক নয়, তবে যত দ্রুত সম্ভব কাযা আদায় করাই উত্তম।
thebgbd.com/NIT