দুই নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের মহাকাশযান। শুক্রবার সন্ধা ৭টার দিকে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। ওই মহাকাশযানে আরও চার নভোচারী আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে পাড়ি দিলেন। তাদের মধ্যে নাসা ছাড়াও জাপান এবং রাশিয়ার প্রতিনিধি রয়েছেন।
নাসা এবং স্পেসএক্স’র উদ্যোগে ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণ বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা থাকলেও সাময়িক সমস্যার কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে শুক্রবার মাস্কের ড্রাগন যান (স্পেসক্র্যাফ্ট) নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেয় ফ্যালকন ৯ রকেট। উৎক্ষেপণকালে স্থানীয় সময় ছিল সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিট। নাসা সেই মুহূর্তের ভিডিও এক্স-এ পোস্ট করেছে। অভিযানের উদ্দেশ্য যাতে সফল হয়, সেই আশাও করেছে। হিসাব অনুযায়ী, ক্রিউ-১০ সুনীতা ও বুচকে নিয়ে ফিরবে ১৯ মার্চের পর।
ক্রিউ-১০ অভিযানে মহাকাশে গেছেন নাসার অ্যান ম্যাক্লেন, নিকোল আইয়ার্স, জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সার প্রতিনিধি টাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের প্রতিনিধি কিরিল পেসকভ। বৃহস্পতিবার এই যানের হাইড্রলিক সিস্টেমে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। সেই কারণে অভিযানের সময় পিছিয়ে যায়।
সুনীতা এবং বুচ গত বছরের জুনে মহাকাশে পাড়ি দেন। আট দিন পরেই তাদের ফিরে আসার কথা। কিন্তু যে যানে চড়ে তারা যান, সেই বোয়িং স্টারলাইনারে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে তাতে তাদের প্রত্যাবর্তন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। মহাকাশে আটকে পড়েন সুনীতা, বুচ। তাদের আট দিনের মহাকাশ সফর নয় মাসে দীর্ঘায়িত হয়। অবশেষে তারা ফিরতে চলেছেন। ক্রিউ-১০ আইএসএস-এ পৌঁছোনোর কিছুদিনের মধ্যেই সুনীতা ও বুচকে নিয়ে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেবে।
সূত্র: রয়টার্স
এসজেড