ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাইল্যান্ড

উইঘুর এবং তুর্কিভাষী ১০ লক্ষেরও বেশি মুসলিম ধর্মাবলম্বীকে শিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন বন্দিশিবিরে (ডিটেনশন ক্যাম্পে) রাখা হয়েছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৫ মার্চ, ২০২৫
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাইল্যান্ড থাইল্যান্ড।

উইঘুর মুসলিম অভিবাসীদের চীন ফেরত পাঠিয়ে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। সে দেশের সমস্ত সরকারি কর্মকর্তার ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে ট্রাম্প সরকারের পররাষ্ট্রসচিব মার্কো রুবিও জানিয়েছেন।


এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রসচিব বলেছেন, ‘২৭ ফেব্রুয়ারি ৪০ জন উইঘুরকে জোর করে চীনে ফেরত প্রত্যর্পণ করার কারণে বর্তমান থাই সরকারের বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকরের  নির্দেশ দিয়েছি।’ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলির আপত্তি উপেক্ষা করে অন্তত ৪০ জন উইঘুরকে চীনে ফেরত পাঠায় থাই সরকার। চীনে তারা নির্যাতনের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


২০১৫ সালের পর থাইল্যান্ড উইঘুর অভিবাসীদের চীনে ফেরত পাঠাল। কয়েক বছর ধরে বলা হচ্ছে, উইঘুর এবং তুর্কিভাষী ১০ লক্ষেরও বেশি মুসলিম ধর্মাবলম্বীকে শিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন বন্দিশিবিরে (ডিটেনশন ক্যাম্পে) রাখা হয়েছে। বলপূর্বক তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একাধিক প্রতিবেদনেও উইঘুরদের বন্দি করার অভিযোগ করা হয়েছে। রুবিও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জোর করে ইউঘুর মুসলিমদের প্রত্যর্পণ ঠেকাতে আমেরিকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’


চল্লিশের দশকে স্বাধীন রাষ্ট্র পূর্ব তুর্কিস্তান দখল করে শিনজিয়াং প্রদেশ তৈরি করেন তৎকালীন কমিউনিস্ট শাসক মাও জে দং। মূল চীনা ভূখণ্ড থেকে সংখ্যাগুরু হান জাতির লোকেদের নিয়ে এসে শিনজিয়াংয়ে জনসংখ্যার ভারসাম্য বদলে দেওয়ার চেষ্টাও শুরু হয়। গত ছয় দশকে শিনজিয়াংয়ে লক্ষাধিক মুসলিম নিহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।


সূত্র: স্কাই নিউজ


এসজেড