ঢাকা | বঙ্গাব্দ

হিজাব না পরাদের খুঁজতে ড্রোন

ইরানে মহিলারা হিজাব পরছেন কি না, নজর রাখতে ড্রোন ব্যবহার করছে সে দেশের প্রশাসন। তৈরি করা হয়েছে বিশেষ একটি অ্যাপও।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৬ মার্চ, ২০২৫
হিজাব না পরাদের খুঁজতে ড্রোন তেহরানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বাস পরে প্রতিবাদ করেন আহু দারইয়াই।

কোন মহিলা হিজাব পরছেন না, তার উপর নজর রাখতে ড্রোন ব্যবহার করছে ইরান। তৈরি করেছে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও (অ্যাপ)। ইরান সরকারের সহায়তায় তৈরি ওই অ্যাপটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘নাজের’। কোনও মহিলা হিজাব না পরে ঘুরছেন কি না, তা ওই অ্যাপের মাধ্যমে পুলিশকে জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে মনটাই জানানো হয়েছে।


সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, পোশাকবিধির উপর নজর রাখার জন্য বিশেষ গেয়েন্দা যন্ত্রের সাহায্য নিচ্ছে ইরান। এর মধ্যে অন্যতম ড্রোন। পথে মহিলাদের উপর নজর রাখতে এই ড্রোনগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। তেহরানের আমিরকবির বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ পথে মুখ শনাক্তকরণে এক বিশেষ ধরনের সফ্‌টওয়্যার বসানো হয়েছে। তবে এপি জানিয়েছে, কেউ হিজাব না পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করছেন কি না, তাও ওই সফ্‌টওয়্যারের মাধ্যমে ধরা হচ্ছে। ইরানের মূল সড়কগুলির ধারে বিভিন্ন জায়গায় স্পাইক্যাম বসানো হয়েছে। সেগুলিও মূলত পোশাকবিধির উপর নজরদারির জন্যও বসানো হয়েছে।


ইরান পুলিশ ‘নাজের’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও চালু করেছে। রাস্তাঘাটে, গাড়ি, বাসে বা অন্য কোনও প্রকাশ্য জায়গায় কোনও মহিলাকে হিজাব ছাড়া ঘুরতে দেখলে ওই অ্যাপের মাধ্যমে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। অ্যাম্বুলেন্সেও হিজাব ছাড়া কাউকে দেখা গেলে ওই অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে। কবে, কোন সময়ে, কোথাও ওই মহিলাকে হিজাব ছাড়া দেখা গেছে, তা-ও পুলিশকে জানানো যাবে ওই অ্যাপের মাধ্যমে। কোনও গাড়িতে হিজাবহীন অবস্থায় দেখা গেলে, সেই গাড়ির নম্বরও পুলিশকে জানানো যাবে।


ইরানে মহিলাদের পোশাকের ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম রয়েছে। রাস্তায় সব সময় ঢিলেঢালা পোশাক পরার নিয়ম। নিয়ম ভাঙলে কড়া শাস্তির বিধানও রয়েছে সে দেশে। এই আইনের প্রতিবাদে তেহরানে ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আহু দারইয়াই প্রকাশ্যে অন্তর্বাস পরে হাঁটেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে প্রশাসন থেকে জানানো হয়, তরুণী মানসিক ভাবে সুস্থ নন বলে দারইয়াইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


সূত্র: এপি


এসজেড