প্রাকৃতিকভাবে কিছু মশলা এমন উপাদান ধারণ করে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এসব মশলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক উপাদান কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে দমন করে এবং ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
হলুদে থাকা কারকিউমিন শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি স্তন, কোলন ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। গোলমরিচের পিপেরিন উপাদান কারকিউমিনের শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
আদায় থাকা জিঞ্জারল ও শোগাওল উপাদান প্রদাহ কমিয়ে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। বিশেষত ডিম্বাশয় ও কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আদা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। দারুচিনিতে থাকা সিনামালডিহাইড কোষের ডিএনএ ক্ষতি রোধ করে এবং লিউকেমিয়া ও লিম্ফোমার মতো রক্তের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
রসুনের অ্যালিসিন যৌগ শরীরে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এবং পাকস্থলী, খাদ্যনালী ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। লবঙ্গের ইউজেনল উপাদান অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি দমন করে।
জিরা ও ধনিয়া ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। মৌরি ও এলাচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুস ও লিভারের ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
নিয়মিত এসব মশলা খাবারের সঙ্গে গ্রহণ করলে শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়, কোষের ক্ষতি কমে এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।