ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সমুদ্রে সাঁতার কাটতে চান সুনি

চার নভোচারী হিউস্টনে নাসার সদর দফতর ‘জনসন স্পেস সেন্টার’-এ। সেখানে চলছে ৪৫ দিনের ‘রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রাম’।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২১ মার্চ, ২০২৫
সমুদ্রে সাঁতার কাটতে চান সুনি সুনি উইলিয়ামস

পৃথিবীতে ফিরে এলেও নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস, বুচ উইলমোরদের এখন ঘরে ফেরায় অনেক দেরি। চার নভোচারী এখন হিউস্টনে নাসার সদর দফতর ‘জনসন স্পেস সেন্টার’-এ। সেখানে চলছে ৪৫ দিনের ‘রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রাম’। দীর্ঘ মহাকাশবাসের পরে পৃথিবীর পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার পরীক্ষা।


দীর্ঘ মহাকাশবাসের ফলে পৃথিবীতে ফেরার পরে মহাকাশচারীদের পেশির দুর্বলতা, হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে পারে। মহাকাশ স্টেশনে মাধ্যাকর্ষণ কম থাকায় শরীরের তরল অংশ মাথার দিকে চলে যায়। এতে হৃদ্‌যন্ত্রের উপর চাপ পড়ে। চাপ বাড়ে মস্তিষ্কেও। শরীরের নীচের অংশে তরলের ঘাটতি হওয়ায় নভশ্চরদের পা রোগা ও দুর্বল হয়ে যায়। আর ভারী হয়ে যায় মাথা। 


মুখ ফুলে যায় অনেকের। এই ঘটনাকে ‘পাফি-হেড বার্ড লেগ’ সিনড্রোম বলে। পাশাপাশি, দীর্ঘদিন মহাকাশে পায়ে হাঁটা চলার অভ্যাস না থাকায় পায়ের পাতা শিশুদের মতো নরম হয়ে যায়। পরতের মতো চামড়া উঠতে শুরু করে। যার নাম ‘বেবি ফিট সিনড্রোম’। ফলে হাঁটাচলা কঠিন হয়। আগামী ৪৫ দিন এ সবের মোকাবিলার জন্য তিন দফায় চিকিৎসা চলবে তাদের। শরীরচর্চা ও ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে তাদের সুস্থ করা হবে।


এর পরের সময়টা তারা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কাটাবেন। মহাকাশে থাকার সময়েই সুনি বলেন, পরিবার ও পৃথিবীর জন্য কতটা মন খারাপ হয় তার। সুনিতা জানান, ঘরে ফিরে পোষ্য দুই ল্যাব্রাডর কুকুরকে নিয়ে আগের মতো সমুদ্রে সাঁতার কাটতে চান। এত দিন তার স্বামী প্রাক্তন মার্শাল মাইকেল জে উইলিয়ামস, সুনির প্রিয় পোষ্যদের দেখাশোনা করেছেন।


এর পরের সময়টা মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণায় ডুবে যেতে চান সুনি। দীর্ঘ মহাকাশবাসের অভিজ্ঞতা, গবেষণা, প্রতিকূলতা এবং শিক্ষা— সবটুকু দিয়ে নাসার ভবিষ্যৎ অভিযাত্রীদের সমৃদ্ধ করতে চায়। বিভিন্ন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান, অনুপ্রেরণামূলক বক্তৃতা, ভবিষ্যতের নভোচর, প্রযুক্তিবিদ এবং মহাকাশ উৎসাহীদের তৈরি করার কাজে সুনি মন দেবেন।


সূত্র: রয়টার্স


এসজেড