ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রমজানে বুক জ্বালাপোড়া রোধে যা করবেন

রমজানে বুক জ্বালাপোড়া বা অ্যাসিডিটির সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা হতে পারে, বিশেষত দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা এবং খাবারের অব্যবস্থাপনা বা তাড়াহুড়োর কারণে।
  • | ২৩ মার্চ, ২০২৫
রমজানে বুক জ্বালাপোড়া রোধে যা করবেন বুক জ্বালাপোড়া

রমজানে বুক জ্বালাপোড়া বা অ্যাসিডিটির সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা হতে পারে, বিশেষত দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা এবং খাবারের অব্যবস্থাপনা বা তাড়াহুড়োর কারণে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু সহজ ও কার্যকর উপায় আছে:


১. স্বাস্থ্যকর খাবার বাছাই করুন: সেহরি ও ইফতারে খাবারের পছন্দ: সেহরি ও ইফতারিতে তেলমসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তিক্ত বা মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। এগুলো অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে।


পানি বেশি পান করুন: সেহরি ও ইফতার সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান করুন, কারণ পানির অভাবও অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়াতে পারে।


খেয়াল রাখুন খাদ্যতালিকায় আলু, কলা, দই, শসা ও স্যুপ রাখার দিকে। এগুলো বুকের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।


২. ভোজ্য তেল ও মশলা কম ব্যবহার করুন:


সেহরি ও ইফতারে ভোজ্য তেল, মশলা এবং চর্বিযুক্ত খাবার সীমিত রাখুন। বেশি তেল বা মশলার খাবার পেটে অ্যাসিড তৈরির জন্য সাহায্য করে, যা বুকের জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।


৩. ইফতার পরে ঠাণ্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন:


ইফতার করার পর ঠাণ্ডা পানীয় বা অতিরিক্ত তাপমাত্রার পানীয় সেবন না করা ভালো, কারণ এগুলো পেটের অ্যাসিডকে আরও উত্তেজিত করতে পারে।


৪. ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন:


দ্রুত খাবার খাওয়ার বদলে ধীরে ধীরে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি হজমে সহায়তা করবে এবং বুকের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করবে।


৫. আলাদা আলাদা খাবার গ্রহণ করুন:


সেহরি এবং ইফতারে খুব বেশি খাবার একসাথে না খেয়ে, পরিমাণমতো খাবার খান। অনেক বেশি খাবার একসাথে খেলে পেট অতিরিক্ত চাপের মধ্যে পড়ে এবং অ্যাসিড তৈরি হয়, যা বুকের জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।


৬. হালকা হাঁটা করুন:


ইফতার করার পর হালকা হাঁটা বা কিছু সময় বিশ্রাম নিন। এর ফলে খাবার হজম সহজ হয় এবং অ্যাসিডিটির ঝুঁকি কমে।


৭. গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ:


যদি প্রয়োজন হয়, ডাক্তারের পরামর্শে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে অযথা ওষুধ না খাওয়ার চেষ্টা করুন।


৮. পেঁয়াজ, রসুন, মিষ্টি খাবার পরিহার করুন:


পেঁয়াজ, রসুন, অতিরিক্ত মিষ্টি বা খুব ঝাল খাবার গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এগুলো এড়িয়ে চলা ভালো।


৯. তাজা ফল ও সবজি খান:


ইফতার ও সেহরিতে তাজা ফল ও সবজি খাবেন, যা হজমে সহায়তা করে এবং পেটের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।


১০. ইফতার ও সেহরির মধ্যে ঘুমানোর আগে পানি খান:


খাবার খাওয়ার পর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন এবং তারপর ঘুমানোর আগে একটি গ্লাস পানি পান করুন। এতে খাবার হজমের প্রক্রিয়া ভালো হয়।


এই সহজ নিয়মগুলো মেনে চললে রমজানে বুকের জ্বালাপোড়া বা অ্যাসিডিটি কমানো সম্ভব। তবে সমস্যা তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।