ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রোজা রাখলে আসে প্রশান্তি

রোজা রাখলে সত্যিই অনেক ধরনের প্রশান্তি আসে, যা শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে অনুভূত হয়।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ মার্চ, ২০২৫
রোজা রাখলে আসে প্রশান্তি ছবি : সংগৃহীত

রোজা রাখলে সত্যিই অনেক ধরনের প্রশান্তি আসে, যা শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে অনুভূত হয়। রোজা শুধুমাত্র খাদ্য বা পানীয় থেকে বিরত থাকা নয়, বরং এটি একটি আধ্যাত্মিক ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর কাছ থেকে রহমত ও বরকত পাওয়ার একটি মাধ্যম।


রোজার মাধ্যমে আসা প্রশান্তির কিছু দিক: আধ্যাত্মিক প্রশান্তি: রোজা পালন করার মাধ্যমে একজন মুসলমান আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ এবং ত্যাগের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করেন। এ সময়ে আল্লাহর রহমত এবং নিকটবর্তী হওয়ার অনুভূতি মানুষের মনে গভীর প্রশান্তি সৃষ্টি করে।


ধৈর্য এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ: রোজা রাখার ফলে মানুষ শারীরিক ইচ্ছা শক্তির প্রতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে শেখে, যা ধৈর্য, সহিষ্ণুতা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের গুণাবলি বৃদ্ধি করে। এই মানসিক শক্তি মানুষের মধ্যে প্রশান্তি এনে দেয়।


মনের শুদ্ধতা: রোজা রাখতে গিয়ে মানুষের কষ্ট ও অভাববোধ অনুভূত হয়, যা তাদের মনের শুদ্ধতা এবং পরোপকারিতার অনুভূতি তৈরি করে। বিশেষত, গরিবদের প্রতি সহানুভূতি বাড়ে এবং এটি শান্তি ও প্রশান্তি এনে দেয়।


শারীরিক প্রশান্তি: রোজা রাখা শরীরের জন্যও অনেক উপকারী। খাদ্য গ্রহণের সময়সূচি বদলানোর মাধ্যমে শরীর বিশ্রাম পায় এবং মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়। এর ফলে শারীরিকভাবে একটি প্রশান্তি অনুভূত হয়।


দৈনন্দিন জীবন থেকে বিরতি: রোজা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্যাঁচ থেকে একটি বিরতি তৈরি করে। এটি তাকে আত্মবিশ্লেষণ, আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়ার এবং জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ দেয়, যা মানসিক শান্তি এনে দেয়।


রোজার মাধ্যমে আসা প্রশান্তি: রোজা শুধু উপবাস নয়, এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য একটি উপায় এবং একজন মুসলমানের মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির পথ। রোজার ফলে পাওয়া এই প্রশান্তি কেবল রোজা ভাঙার পরেই নয়, বরং সারাটা দিন বা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মানুষের মধ্যে থাকে।


thebgbd.com/NA