কাজ প্রায় শেষ, এবার তার ‘ছুটি’। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন সংসারের খরচ এক লক্ষ কোটি ডলার কমানো, অসংখ্য কর্মী-ছাঁটাইয়ের পর ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই) থেকে সড়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ইলন মাস্ক। সরকারি দপ্তরের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তৈরি করা এই বিভাগটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এরইমধ্যে বৈঠক করেছেন তিনি। মাস্ক জানান, গত কয়েক মাসে তার বিভাগ কী কী কাজ করেছে, সেই সাফল্য নিয়ে পূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
জানুয়ারি মাসে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরে ডিওজিই বিভাগটির সূচনা করা হয়। প্রধান করা হয় মাস্ককে। সরকারি দপ্তরের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তৈরি করা হলেও গত আড়াই মাসে ‘অদক্ষ’ কর্মী ছাঁটাই ও ‘অপ্রয়োজনীয়’ বিভাগগুলি বন্ধ করতেই দেখা গেছে। মাস্ক বলেছেন, মে মাসে পদত্যাগ করবেন তিনি। এমন সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ৫৪ বছর বয়সি ধনকুবের জানান, লক্ষ্য প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি।
আত্মবিশ্বাসী মাস্ক আরও বলেছেন, মাত্র ১৩০ দিনে সরকারের বার্ষিক আয় ও ব্যয়ের ব্যবধানের ঘাটতি অর্ধেক করে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গড়ে প্রতিদিন ৪০০ কোটি ডলার সাশ্রয়... এভাবে প্রতিদিন, সপ্তাহের সাত দিন।’ সে হিসাবে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারের এক লক্ষ কোটি ডলার খরচ কমিয়েছেন তিনি।
এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, সরকারের খরচ সাত লক্ষ কোটি থেকে কমিয়ে ছয় লক্ষ কোটিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। পুরো এক লক্ষ কোটি ডলার সাশ্রয়। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং সেই সঙ্গে ট্রাম্পের ‘বিশেষ উপদেষ্টা’ মাস্ক বলেন, ‘আমার বিশ্বাস সময়ের মধ্যেই আমরা বাজেট ঘাটতি কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে ফেলব। সরকার একেবারেই দক্ষ নয়। প্রচুর অর্থ নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে জালিয়াতি। তাই আমরা নিশ্চিত, ব্যয় ১৫ শতাংশ কমানোয় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিষেবাগুলি কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।’
ডিওজিই প্রধান আরও জানান, কর্মী ছাঁটাই, সম্পত্তি বিক্রয় ও চুক্তি বাতিলসহ বিবিধ কাজে করদাতাদের আনুমানিক ১১,৫০০ কোটি ডলার বাঁচিয়েছেন। মাস্ক বলেন, ‘মানুষ যে সব গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিষেবার উপরে নির্ভরশীল, সেগুলি ঠিকই চলবে। অসাধারণ একটি ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর পথে কি আমাদের অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হবে? হ্যাঁ, অবশ্যই।’
মাস্ক আরও বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য হল দিন প্রতি ৪০০ কোটি ডলার, এ ভাব সাত দিন অর্থের অপচয় ও জালিয়াতি আটকানো। এখনও পর্যন্ত আমরা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছি। এই সাফল্য না পেলে যুক্তরোষ্ট্রের জাহাজ ডুবে যেত। আর সেটা আটকাতেই আমরা এই কাজ করছি।’
সূত্র: রয়টার্স
এসজেড