ঢাকা | বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে মানুষের ঢল, নেই কোনো ভোগান্তি

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রাত পোহালেই মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ মার্চ, ২০২৫
দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে মানুষের ঢল, নেই কোনো ভোগান্তি ছবি : সংগৃহীত

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রাত পোহালেই মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ মুহূর্তে মানুষের ঢল নেমেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। ব্যক্তিগত যানবাহনের সঙ্গে বেড়েছে মানুষের চাপ। তবে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হয়ে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।


আজ রোববার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টায় দৌলতদিয়া ৭নং ফেরি ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ২০ মিনিটের ব্যবধানে পাটুরিয়া থেকে তিনটি ফেরি সহস্রাধিক যাত্রী ও তিন শতাধিক ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেট কার নিয়ে আসে। কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রী ও যানবাহন ফেরি থেকে নেমে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে।


গার্মেন্টস কর্মী আরিফ শেখের সঙ্গে দৌলতদিয়া ৭নং ফেরি ঘাটের পল্টুনের ওপর থেকে কথা হয়। সে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে যাচ্ছেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের আগেই পাঠিয়ে দিয়েছেন। গত শনিবার গার্মেন্টস ছুটি হয়েছে আজ সকালেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকা থেকে দৌলতদিয়া ফেরি পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। 


সেলিম রেজা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। গতকাল শনিবার তার অফিস ছুটি হয়েছে। আজ সকালেই বেড়িয়ে পড়েন বাড়ির উদ্দেশে। ঢাকা থেকে লোকাল বাসে পাটুরিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে উঠেছেন। তার দাবি, কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই এবার যেতে পারছেন বাড়ি।


দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহউদ্দিন বলেন, যাত্রী ও যানবাহন চালকদের যাতে ভোগান্তি না হয়, তার জন্য এই রুটে ছোট বড় ১৭টি ফেরি চলাচল করছে।


রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন বলেন, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে যাতে কোনো যাত্রী ও যানবাহন ভোগান্তির শিকার না হয় তার জন্য পুলিশের চার স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ছিনতাইকারী যাতে কোনো যাত্রীদের কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতে না পারে তার জন্য ঈদের আগ থেকে অভিযান চালিয়ে একাধিক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


thebgbd.com/NA