ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের বর্বরতায় বায়তুল মোকাররমে উত্তাল বিক্ষোভ

ইসরায়েলের অব্যাহত বর্বর হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর উত্তাল হয়ে ওঠে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ এপ্রিল, ২০২৫
ইসরায়েলের বর্বরতায় বায়তুল মোকাররমে উত্তাল বিক্ষোভ সংগৃহীত

ইসরায়েলের অব্যাহত বর্বর হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর উত্তাল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন ইসলামী দল ও সংগঠন সমবেত হয়ে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানানোর পাশাপাশি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের দাবি তোলেন।


বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ তিসরি ইনসাফ দল এবং জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশ-এর ব্যানারে পৃথক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের নিষ্ক্রিয়তার কড়া সমালোচনা করেন।


ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতারা বলেন, ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে তা মানবতার চরম লঙ্ঘন। দেশবাসীকে অনুরোধ করব—ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করুন। যারা এসব পণ্যের আমদানি-ব্যবসায় জড়িত, তারা অবিলম্বে এই ব্যবসা থেকে সরে আসুন। তারা আরও বলেন, বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা ও ইসরায়েলের মদদে গাজায় হত্যাযজ্ঞ চলছে। প্রায় ৬০ হাজার নিরীহ মানুষ মারা গেছে। অথচ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।


তিসরি ইনসাফ দল বলেছে, ইসরায়েল শিশু ও নিরীহ জনগণকে হত্যা করে মানবতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তুলতে হবে এবং ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করতে হবে।


জাতীয় ইমাম সমাজ বলেছে, ইসরায়েলের বর্বরতা দাজ্জালের আগমনের পূর্বাভাস। এখন মুসলমান হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ফরজ। বাংলাদেশের মুসলমানদের প্রতিবাদের এই ধারা যেন আরও বিস্তৃত হয়।


সমাবেশে জোর দিয়ে বলা হয়, ইসরায়েলি পণ্য বর্জন আন্দোলনকে জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশব্যাপী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে যেন কেউ অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন পণ্য না কেনে।


প্রতিবাদকারীরা জাতিসংঘ, ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিরীহ মানুষ মরছে, গাজা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, অথচ বিশ্ব তাকিয়ে দেখছে—কেউ কিছু করছে না।


বিক্ষোভ শেষে কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের পাশে থাকার অঙ্গীকার ঘোষণা করা হয় এবং ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে গণআন্দোলন জোরদারের ইঙ্গিত দেওয়া হয়। “গাজা একা নয়—বাংলাদেশের জনগণ সবসময় ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য সোচ্চার থাকবে।”


thebgbd.com/NIT