ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রান্নায় গ্যাস সাশ্রয়ের কিছু টোটকা

গ্যাসের দাম বাড়ার পর থেকে রান্নায় গ্যাস সাশ্রয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
  • | ১৫ এপ্রিল, ২০২৫
রান্নায় গ্যাস সাশ্রয়ের কিছু টোটকা রান্নায় গ্যাস সাশ্রয়ের উপায়

গ্যাসের দাম বাড়ার পর থেকে রান্নায় গ্যাস সাশ্রয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। গ্যাসের ব্যবহার কমাতে এবং বিদ্যুৎ বিলও কমাতে কিছু সহজ উপায় রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করলে সাশ্রয় করা সম্ভব।


প্রথমত, রান্নার জন্য উপযুক্ত বাসন নির্বাচন করা জরুরি। পাতলা তলায় বা তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যাওয়া উঁচু তাপমাত্রায় রান্না করার বাসন ব্যবহার করলে গ্যাসের ব্যবহার অনেক কমে যায়। যেমন, এলুমিনিয়াম, স্টেইনলেস স্টিল বা কাস্ট আয়রনের হাঁড়ি গ্যাস সাশ্রয়ে কার্যকর। একইসাথে, বাসন পরিষ্কার রাখাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ময়লা জমে থাকলে তাপ পরিবাহিতা কমে যায় এবং গ্যাস বেশি খরচ হয়।


আরেকটি সহজ উপায় হলো ঢাকনা ব্যবহার করা। রান্নার সময় ঢাকনা দিয়ে রান্না করলে গ্যাসের তাপ বন্ধ থাকে, ফলে গ্যাসের ব্যবহার কম হয় এবং খাবার দ্রুত সিদ্ধ হয়। তাছাড়া, রান্নার আগে খাবারের প্রস্তুতি সঠিকভাবে করতে হবে। যেমন, সবজি বা মাংস আগে ভালোভাবে কেটে নেওয়া এবং পানি গরম হয়ে গেলে তাতে খাবার যোগ করা গ্যাস সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।


গ্যাসের সাশ্রয়ী ব্যবহারের জন্য আগুনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খুব বেশি তাপ দিয়ে রান্না করার প্রয়োজন নেই। অনেক সময় কম তাপেও রান্না হয়ে যায় এবং গ্যাস সাশ্রয় হয়। এ ছাড়া, রান্নার সময় গ্যাসের চুলা সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। যদি চুলার জ্বালানি ব্যবস্থা বন্ধ থাকে বা ব্লক হয়ে থাকে, তবে গ্যাসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে গ্যাসের বেশি ব্যবহার হয়।


অন্যদিকে, মাল্টি-জোন চুলা ব্যবহার করে একসাথে একাধিক খাবার রান্না করতে পারেন, যাতে গ্যাসের ব্যবহার আরও কমানো যায়। একযোগভাবে রান্না করা, যেমন কয়েকটি পদ একসাথে একই সময়ে রান্না করা, সাশ্রয়ী হবে। এছাড়া, পরিমিত খাবার প্রস্তুত করা এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করা সাশ্রয়ের জন্য সহায়ক। রান্নার শেষে চুলা বন্ধ করার পর একেবারে হালকা তাপে কিছু সময় খাবার রাখতে পারেন, যাতে তাপ ধরে থাকে এবং আরেকটি ব্যাচ রান্না করার সময় গ্যাস কম লাগে।


এই সহজ টিপসগুলো অনুসরণ করলে রান্নার ক্ষেত্রে গ্যাসের সাশ্রয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যার ফলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ওপরেও কম চাপ পড়বে।