ইকামত মূলত জামাতের জন্য নির্ধারিত। এটি জামাত শুরু হওয়ার পূর্বে একটি ঘোষণা— যাতে মুসল্লিরা নামাজের জন্য প্রস্তুত হতে পারেন।
তবে কেউ যদি একাকী নামাজ পড়ে— বিশেষ করে পুরুষ— তাহলে ইকামত পড়া সুন্নাত বা মুস্তাহাব (পছন্দনীয় কাজ) বলে গণ্য হয়, ওয়াজিব বা ফরজ নয়।
ইবনু আবি শাইবা বর্ণনা করেন, “এক ব্যক্তি এসে রাসূল (সা.)-কে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি একাকী নামাজ পড়ি, তখন কি আজান ও ইকামত বলব?’ তিনি বললেন: ‘হ্যাঁ, যদি একাই হও, তবু ইকামত বলো।’” (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, ১/২৫৫)
তবে এই হাদীসের প্রেক্ষিতে অনেক ইমাম যেমন ইমাম আবু হানিফা, মালিক, শাফি ও আহমদ (রহ.)— তাদের মধ্যে মতবিরোধ আছে, কিন্তু অধিকাংশই বলেন, একাকী নামাজে ইকামত সুন্নাতে মুস্তাহাবা।
একা নামাজে ইকামত পড়লে: এটি উত্তম আমল হিসেবে গৃহীত হবে।
নামাজের ফজিলত কিছুটা বৃদ্ধি পায়।
সুন্নতের অনুসরণ হয়।
ইকামত না পড়লেও নামাজ বাতিল হয় না।
গোনাহগারও হওয়া লাগে না।
কিন্তু একটি মুস্তাহাব আমল ছেড়ে দেওয়া হয়।
একাকী নামাজে ইকামত পড়লে ভালো, না পড়লেও কোনো সমস্যা নেই। তবে যারা নিয়মিত নামাজে গুরুত্ব দেন এবং সুন্নতের প্রতি যত্নবান, তারা একা নামাজ পড়ার সময়ও সংক্ষেপে ইকামত বলে নিতে পারেন:
ইকামতের সংক্ষিপ্ত রূপ:
“আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার... লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।”
“ইবাদতের প্রতিটি সুন্দর অভ্যাস আমাদের চরিত্রকে আরও পূর্ণতা দেয়। ইকামত— নামাজের সৌন্দর্যের একটি অংশ, তা একা হোক বা জামাতে।”
thebgbd.com/NA