রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ মানদণ্ড অনুযায়ী এই রিজার্ভ ২১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। তবে ব্যবহারযোগ্য বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনও ১৬ বিলিয়নের ঘরেই রয়েছে।
এর আগে মার্চের ৯ তারিখ আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ নেমে আসে ২৫ বিলিয়ন ডলারে। তবে রমজান মাসে রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়ায় এবং রপ্তানি আয় ইতিবাচক থাকায় পুনরায় রিজার্ভ বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এই ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসাবে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
২০২২ সালের আগস্টে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল রিজার্ভ। সরকারের পতনের আগে গত বছরের জুলাইয়ে তা নেমে আসে ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়নে। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে আর ডলার বিক্রি করছে না।
চলতি বছরের মার্চ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২৯ কোটি ডলার, যা দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ। এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ দেশীয় মুদ্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরু থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতিটি মাসেই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা সরকার পরিবর্তনের পর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
এদিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, মার্চে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাই রিজার্ভ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
thebgbd.com/NIT