ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের পর চীনের বাজারে প্রথমবারের মতো সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দেশের আম রপ্তানির। এতে খুশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম রপ্তানিকারক, বাগান মালিক ও উদ্যোক্তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানির প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রার নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে আম। আর কৃষি বিভাগ বলছে, আম রপ্তানির বাধাগুলো চিহ্নিত করে তা নিরসনে কাজ চলছে।
বিগত কয়েক বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে আম রফতানি হয়। এ বছর চীনের বাজারে দেশের আম রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
গত সপ্তাহে জেলার কয়েকটি আমবাগান এবং আম গ্রেডিং, শর্টিং ও শোধন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন চীন আমদানিকারকদের প্রতিনিধি। পরিদর্শন শেষে তিনি আম আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন। এতে খুশি বাগান মালিক ও উদ্যোক্তারা।
তারা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে আম কিনতে আগ্রহী চীন। এটা উদ্যোক্তাদের জন্য খুশির খবর। কোনো রকম মাধ্যম ছাড়া সরাসরি বাগান থেকে চীনে আম রপ্তানি করতে পারলে নিশ্চিত হবে ন্যায্যমূল্য।
রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস কৃষি বিভাগের। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া বলেন, কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আম রফতানিতে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, রপ্তানির ক্ষেত্রে যে ধরনের বাধা-বিঘ্ন রয়েছে, সেগুলো দূর করে রফতানি বাড়াতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমির আম বাগান থেকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
thebgbd.com/NIT