খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাময়িক বহিষ্কৃত ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্ত এসেছে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচির মধ্যেই। অনশন চলাকালে ইতোমধ্যে পাঁচজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের সংঘর্ষের জেরে ৬ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করে সিন্ডিকেট, এবং সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
একইসঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এক বহিরাগত ২২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরে ১৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার দাবিতে পুনরায় আন্দোলনে নামেন। এতে প্রশাসনের কোনো সাড়া না মেলায় ২২ এপ্রিল বিকাল থেকে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে এক দফা আমরণ অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে আজ থেকেই কুয়েট ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল কাজ শুরু করেছে। তারা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন।
এই ঘটনাপ্রবাহ কুয়েটের শিক্ষাব্যবস্থায় স্বাভাবিকতা ফেরাতে প্রশাসন, শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
thebgbd.com/NIT