ঢাকার বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হৃদয় মিয়াজিকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ রিমান্ড শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হৃদয় মিয়াজির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এবং আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন আবেদন করেন। তবে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হৃদয় মিয়াজি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দুর্লব্দী গ্রামের বাসিন্দা এবং বনানী থানাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল একই মামলায় আরও তিনজন – আল কামাল শেখ, আলভী হোসান জুনায়েদ, আল আমিন সানি – সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। তারা ২০ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন।
গত ১৯ এপ্রিল বিকেল ৪টার পর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন জাহিদুল ইসলাম পারভেজ। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন ২০ এপ্রিল পারভেজের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারীসহ আটজনকে এজাহারনামীয় এবং আরও ২০–৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
thebgbd.com/NIT