ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পাকিস্তান সিনেটে প্রস্তাব, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জবাবের হুঁশিয়ারি

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহালগামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করার ভারতীয় প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান সিনেটে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
পাকিস্তান সিনেটে প্রস্তাব, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জবাবের হুঁশিয়ারি ছবি : সংগৃহীত।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহালগামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করার ভারতীয় প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান সিনেটে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সিনেট অধিবেশনে গৃহীত এই প্রস্তাবে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভূখণ্ডের অখণ্ডতা ও পানির অধিকার রক্ষায় যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ‘সম্পূর্ণ জাতীয় শক্তি’ দিয়ে জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।


প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। তিনি বলেন, যদি কেউ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের চিন্তা করে, তবে সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং অতীতের মতো এবারও কঠোর জবাব দেওয়া হবে।


সিনেটের এই প্রস্তাবে পাহালগাম হামলায় পাকিস্তানকে জড়ানোর ভারতীয় অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। পাশাপাশি ভারতের একতরফাভাবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করার ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন এবং একরকম যুদ্ধ ঘোষণা বলেও মন্তব্য করা হয়।


পিপিপি সিনেটর এবং সাবেক জলবায়ু মন্ত্রী শেরি রেহমান বলেন, মোদি সরকার বহুদিন ধরেই পানি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে, কিন্তু পাকিস্তান তা কখনোই হতে দেবে না। তিনি বলেন, পাকিস্তান শান্তি চায়, কিন্তু কেউ যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে চায়, তাহলে তারা প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, “তোমরা পুলওয়ামার পর আমাদের চা খেয়েছিলে। এখনো আমাদের কাছে পানি আছে, দুধ মিশিয়ে আবারও চা বানিয়ে দেব।” তার এই বক্তব্যে সিনেটে হাস্যরসের সৃষ্টি হয় এবং উপস্থিত সদস্যরা করতালি দিয়ে সায় দেন।


প্রস্তাবে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের জনগণ শান্তিপ্রিয়, তবে দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং স্বার্থ রক্ষায় কখনো পিছিয়ে থাকবে না। এই প্রস্তাব এমন এক সময় পাস হলো যখন ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত, সীমান্ত ট্রানজিট বন্ধ এবং পাকিস্তানকে ‘জঙ্গি-সমর্থক’ রাষ্ট্র হিসেবে দোষারোপ। পাকিস্তানের দাবি, ভারতের এসব পদক্ষেপের পক্ষে এখনো কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।



thebgbd.com/NA