ঢাকা | বঙ্গাব্দ

এ সপ্তাহেই ‘সিদ্ধান্ত’

রোববার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এনবিসি’কে বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সপ্তাহ হতে যাচ্ছে।’
  • অনলাইন ডেস্ক | ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
এ সপ্তাহেই ‘সিদ্ধান্ত’ ট্রাম্প-জেলেনস্কি-পুতিন

রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা সোমবার ‘নির্ণায়ক সপ্তাহে’ প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিয়েভের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে তারা ক্রিমিয়া ছেড়ে দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যায়। ইউক্রেনের কিয়েভ থেকে এএফপি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি মনে করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্রিমিয়া ছাড়তে রাজি। ২০১৪ সালে রাশিয়া এ উপদ্বীপ দখল করে নেয়।


ক্ষমতা গ্রহণের আগে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি একদিনেই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন। জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি লড়াই থামাতে কূটনৈতিক উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আসলে যুদ্ধের অবসান চান কি না। এ যুদ্ধ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংস করেছে এবং লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।


রোববার ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই তিনি (পুতিন) গুলি চালানো বন্ধ করুন, বসে আলোচনা করুন এবং একটি চুক্তি সই করুন। আমরা একটি চুক্তির কাঠামোতে পৌঁছেছি বলে মনে করি এবং আমি চাই তিনি এতে সই করুন।’ এর আগে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এনবিসি’কে বলেন, ‘আমরা কাছাকাছি এসেছি, তবে এখনো যথেষ্ট কাছে পৌঁছাইনি। আমি মনে করি, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সপ্তাহ হতে যাচ্ছে।’


হোয়াইট হাউস বলেছে, দ্রুত অগ্রগতি না হলে তারা শান্তি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরে আসতে পারে। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, এ প্রক্রিয়াকে তিনি দুই সপ্তাহ সময় দেবেন। ওয়াশিংটন এখনও তাদের প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা যুদ্ধবিরতির জন্য বর্তমান ফ্রন্টলাইন বরাবর যুদ্ধ বন্ধ করার এবং ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছে।


ট্রাম্প বলেন, তিনি মনে করেন জেলেনস্কি ক্রিমিয়া ছাড়তে সম্মত হবেন, যদিও ইউক্রেনীয় নেতা বারবার বলেছেন, তিনি এটি কখনও করবেন না। রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে তারা পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা করেছে, যদিও তাদের পুরোপুরি সামরিক নিয়ন্ত্রণ সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড দখলে রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্রিমিয়াও।


এদিকে, জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্তোরিয়াস রোববার বলেন, ইউক্রেনের উচিত নয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে উল্লিখিত সব ভূখণ্ড ছাড়ার শর্ত মেনে নেওয়া। তিনি এআরডি সম্প্রচারমাধ্যমকে বলেন, ‘ইউক্রেন বহুদিন ধরেই জানে, টেকসই এবং বিশ্বাসযোগ্য কোনও যুদ্ধবিরতি বা শান্তিচুক্তির জন্য কিছু ভূখণ্ড ছাড়তে হতে পারে। তবে এসব ছাড় অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক প্রস্তাবে যে মাত্রায় বলা হয়েছে, সেই পর্যায় পর্যন্ত যাবে না।’


রোববার মার্কো রুবিও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বলে মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা ‘আলোচনা শুরু করার জন্য উদ্ভূত শর্তগুলো সংহত করার গুরুত্ব’ এবং ‘দীর্ঘমেয়াদে টেকসই শান্তির একটি নির্ভরযোগ্য পথ নির্ধারণের’ ওপর জোর দিয়েছেন।


সূত্র: এএফপি


এসজেড