ঢাকা | বঙ্গাব্দ

তথ্য ফাঁসের পর সিম বদল

কোম্পানিটি পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষা পরিষেবায় নিবন্ধন করতে আহ্বান জানিয়েছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
তথ্য ফাঁসের পর সিম বদল এসকে টেলিকমের এক কর্মী।

দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রদানকারী এসকে টেলিকম সোমবার থেকে তাদের ২ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহকের মোবাইল সিম কার্ড (ইউএসআইএম চিপ) পরিবর্তন কার্যক্রম শুরু করেছে। তথ্য ফাঁসের ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রাহকরা বিনামূল্যে সিম পরিবর্তনের জন্য দেশজুড়ে ক্যারিয়ার স্টোরে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে।


এ মাসের শুরুতে এসকে টেলিকম জানায়, তারা ক্ষতিকারক কোডের মাধ্যমে হ্যাকিংয়ের একটি ঘটনার শিকার হয়েছে, যার মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে। এই ঘটনায় কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া হয় এবং সরকার দক্ষিণ কোরিয়ার সামগ্রিক তথ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেয়। তবে এসকে টেলিকম এখনও পর্যন্ত হ্যাকিংয়ের ক্ষতির পরিমাণ বা দায়ীদের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।


সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানি জানায়, ‘সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে আমরা দেশব্যাপী ২ হাজার ৬০০টি ক্যারিয়ার স্টোরে যারা ইচ্ছুক, তাদের জন্য বিনামূল্যে ইউএসআইএম চিপ পরিবর্তন করবো।’ ইউএসআইএম (ইউনিভার্সাল সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল) মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় চিপ।


কোম্পানিটি পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষা পরিষেবায় নিবন্ধন করতে আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি আরও জানায়, ‘আমরা ইউএসআইএম পরিবর্তনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছি, তাই নিকটস্থ স্টোরে এসে সেবা গ্রহণ করুন।’ তবে কোম্পানি স্বীকার করেছে যে, তাদের মোট গ্রাহকের তুলনায় প্রয়োজনীয় ইউএসআইএম চিপের মাত্র পাঁচ শতাংশেরও কম মজুদ রয়েছে। মে মাসের শেষ নাগাদ অতিরিক্ত ৫০ লাখ চিপ সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়।


বিশ্বের অন্যতম ডিজিটাল উন্নত দেশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর কোরিয়ার সাইবার হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে আসছে। অতীতেও বেশ কয়েকটি বড় সাইবার হামলার জন্য উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করা হয়েছে। মে মাসে পুলিশ ঘোষণা করে, উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালতের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে দুই বছরের মধ্যে জমাকৃত সংবেদনশীল তথ্য চুরি করে — যার মধ্যে ব্যক্তিগত আর্থিক রেকর্ডও অন্তর্ভুক্ত ছিল। চুরি হওয়া তথ্যের পরিমাণ এক গিগাবাইটেরও বেশি।


সূত্র: এএফপি


এসজেড