হজ মুসলমানদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক ইবাদত যা শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিমদের জীবনে একবার পালন করতে হয়। এটি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং প্রতিবছর আরবের সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে অনুষ্ঠিত হয়। হিজরি ক্যালেন্ডারের জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম পালিত হয়।
কুরআন ও হাদিসে হজের গুরুত্ব অত্যন্ত স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, “মানুষের মধ্যে যার সামর্থ্য রয়েছে, তার জন্য আল্লাহর ঘরে হজ করা ফরজ।” (সূরা আলে ইমরান: ৯৭)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি হজ করল এবং অশ্লীল কথা ও গুনাহ থেকে বিরত রইল, সে এমনভাবে ফিরে আসবে যেন সে মায়ের গর্ভ থেকে সদ্য জন্ম নিয়েছে।”
হজের প্রধান কিছু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে রয়েছে—ইহরাম বাঁধা, তাওয়াফ, সাঈ, আরাফার ময়দানে অবস্থান, মুযদালিফায় রাত যাপন, মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপ, কুরবানি দেওয়া এবং কাবা শরিফের বিদায়ী তাওয়াফ। এগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে ও নির্দিষ্ট সময়ে পালন করতে হয়।
হজ তিন প্রকার—তামাত্তু, কিরান ও ইফরাদ। ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতি অনুযায়ী মুসলমানেরা যে কোনো এক প্রকার হজ পালন করে থাকেন।
বর্তমানে আধুনিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হজ পালন অনেক সহজ হলেও, এটি এখনও আত্মত্যাগ, ধৈর্য এবং আনুগত্যের চূড়ান্ত পরীক্ষা। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মুসলমান হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান। বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো যৌথভাবে হজ ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করে থাকে।
হজ পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা একত্রিত হন বিশ্বভ্রাতৃত্বের চেতনায়। এটি কেবল একটি ধর্মীয় অনুশীলন নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির অনন্য নিদর্শন।
thebgbd.com/NA