গ্যাসের সমস্যা বা পেট ফোলা অনেকেরই একটি সাধারণ সমস্যা। তবে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে কিছু কার্যকরী অভ্যাস দেওয়া হলো, যা গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে:
ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া: দ্রুত খাবার খাওয়ার ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বেশি বায়ু গ্যাসে পরিণত হয়। তাই খাবার ধীরে এবং মনোযোগ দিয়ে খাওয়া উচিত। এতে খাবার পচন প্রক্রিয়া আরও ভালভাবে সম্পন্ন হয়।
প্রচুর পানি পান করা: দৈনন্দিন পর্যাপ্ত পানি পান করা গ্যাস এবং হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পানি হজমে সাহায্য করে এবং পেটের মাংসপেশি শিথিল করে।
ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া: সেলুলোজ ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন শাকসবজি, ফল, শস্য ও গম হজমে সহায়ক হয়। এটি পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং গ্যাসের সমস্যা কমায়।
চা বা হার্বাল চা পান করা: পুদিনা, আদা বা ক্যামোমিল চা গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। এসব চা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে।
রাতে খাবারের পর হালকা হাঁটাচলা: খাওয়ার পর দীর্ঘ সময় বসে থাকা গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই খাবারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করা বা হালকা ব্যায়াম করা উপকারী।
ভাজাপোড়া ও তেলযুক্ত খাবার কম খাওয়া: অতিরিক্ত তেল বা মশলা যুক্ত খাবার গ্যাসের সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই সঠিক পরিমাণে এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
এন্টিসিডেন্ট খাওয়া (যদি প্রয়োজন হয়): অনেক সময় পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হলে গ্যাসের সমস্যা হয়। এর জন্য কিছু সাধারণ এন্টিসিডেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে নিয়মিত ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ গ্যাসের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে। নিয়মিত মেডিটেশন, ইয়োগা বা শ্বাসপ্রশ্বাসের অনুশীলন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
খাবারের পর বেশি পানি পান না করা: খাবারের পর বেশি পানি পান করলে এটি পেটের হজমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। খাবারের পর কিছু সময় বিরতি দিয়ে পানি পান করা উচিত।
এই অভ্যাসগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে যদি সমস্যা 지속 থাকে, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।