হজ একটি মহান ইবাদত, কিন্তু তা কবুল হওয়ার জন্য শুধু আচার-অনুষ্ঠান পালন করাই যথেষ্ট নয়। হজ কবুল হওয়ার কিছু শর্ত ও অন্তরের অবস্থা রয়েছে, যা না থাকলে আল্লাহর কাছে হজ গৃহীত হয় না।
প্রথমত, হালাল উপার্জনে হজ না করলে তা কবুল হয় না। হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি হারাম উপার্জনে হজ করে, তার জন্য বলা হবে—লাব্বাইক নয়, ফিরে যাও, তোমার হজ কবুল হয়নি।” (তাবরানি)
দ্বিতীয়ত, রিয়া বা লোক দেখানো উদ্দেশ্যে হজ করলে তা কবুল হয় না। ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করাই কবুল হওয়ার প্রধান শর্ত।
তৃতীয়ত, হজের নিয়ম ও শর্ত যথাযথভাবে না মানলে হজ বাতিল বা অগ্রহণযোগ্য হতে পারে। বিশেষ করে আরাফায় অবস্থান, তাওয়াফে জিয়ারাহ, সাঈ—এসব রোকন ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিলে হজই শুদ্ধ হয় না।
চতুর্থত, যারা হজ করে এসে গুনাহর কাজে ফিরে যায়, চোর, মিথ্যাবাদী, সুদখোর বা অন্যায়কারী হয়ে থাকে, তাদের হজ হয়তো শারীরিকভাবে সম্পন্ন হলেও আত্মিকভাবে কবুল হয় না। হাদিসে আছে, “হজ করে যদি কেউ অশ্লীলতা ও গুনাহ থেকে বিরত থাকে, সে নির্দোষ শিশুর মতো ফিরে আসে।” (বুখারি)
পঞ্চমত, অন্যের হক নষ্ট করে, দেনা পরিশোধ না করে হজে যাওয়া একজন মুসলমানের নৈতিক দায়িত্ব লঙ্ঘন করে, যা হজের বরকত নষ্ট করতে পারে।
সুতরাং, হজ শুধু দেহের নয়, হৃদয়ের ইবাদত। পবিত্র নিয়ত, হালাল রুজি, শরিয়ত মোতাবেক পালন এবং আত্মশুদ্ধির মানসিকতা না থাকলে হজ কবুল হওয়ার আশা ক্ষীণ থাকে।
thebgbd.com/NIT