হজ একটি মহান ফরজ ইবাদত, যা শুদ্ধভাবে আদায় করলে আল্লাহ তাআলা তা কবুল করে নেন এবং বান্দার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেন। হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি হজ করল এবং অশ্লীলতা ও গুনাহ থেকে বিরত থাকল, সে এমনভাবে ফিরে আসবে যেন সে নতুন জন্ম নিয়েছে।” (বুখারি, মুসলিম)
প্রথমত, যারা হালাল উপার্জনে হজ করেন, তাদের হজ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আল্লাহ শুধু পবিত্র জিনিসই গ্রহণ করেন।
দ্বিতীয়ত, যাদের নিয়ত খাঁটি থাকে—শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ করেন, লোক দেখানোর জন্য নয়—তাঁদের হজ কবুল হয়।
তৃতীয়ত, যারা হজের সকল নিয়ম-কানুন, রোকন ও ওয়াজিব যথাযথভাবে পালন করেন, যেমন—ইহরাম, আরাফায় অবস্থান, তাওয়াফ, সাঈ, কুরবানি ও কঙ্কর নিক্ষেপ, তাঁদের হজ শুদ্ধ হয় এবং কবুল হওয়ার আশা থাকে।
চতুর্থত, হজের সময় ও পরে যারা গুনাহ থেকে বিরত থাকেন, চরিত্র ও আচরণে পরিবর্তন আনেন এবং আল্লাহর পথে জীবন গড়তে সচেষ্ট হন—তাঁদের হজই সত্যিকারের কবুল হজ।
পঞ্চমত, যারা মানুষের হক আদায় করে, ক্ষমা চায়, মন পরিষ্কার রেখে হজে যান, তাদের অন্তরের পবিত্রতা হজ কবুলে ভূমিকা রাখে।
সুতরাং যাদের হজ আত্মিক পরিশুদ্ধি আনে, আমলে পরিবর্তন ঘটায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়, তাদের হজই আল্লাহর কাছে কবুল হয়।
thebgbd.com/NIT