ঢাকা | বঙ্গাব্দ

গোলের বন্যায় জমজমাট বার্সা-ইন্টারের প্রথম লেগ

জোড়া গোলে পিছিয়ে থেকেও দারুণ কামব্যাক করলো বার্সেলোনা। ৬ গোলের থ্রিলার শেষ হলো অমীমাংসিতভাবে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০১ মে, ২০২৫
গোলের বন্যায় জমজমাট বার্সা-ইন্টারের প্রথম লেগ বার্সার হয়ে শততম ম্যাচে গোল পেয়েছেন ইয়ামাল।

গোলের ইতিহাস গড়েও বার্সেলোনাকে আটকাতে পারলো না ইন্টার মিলান। জোড়া গোলে পিছিয়ে থেকেও দারুণ কামব্যাক করলো বার্সেলোনা। ৬ গোলের থ্রিলার শেষ হলো অমীমাংসিতভাবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৩-৩ গোলে ড্র করলো বার্সা-ইন্টার।


শেষ দশ বছরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ী দলগুলোর ঐক্য পরিষদের একক নেতৃত্ব ছিলো বার্সেলোনার। এবার সে ব্যাটন ঘুরে এসেছে মাদ্রিদিস্তাদের হাতে। সমর্থক বা সমালোচক যাই বলি না কেন, কাউকেই ধাতস্থ হওয়ার সময়টুকুও দেয়নি ইন্টার মিলান। মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই কাতালুনিয়ানদের জালে বল পাঠান মার্কাস থুরাম। যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম। 


ম্যাচ শুরুর আগে পরিসংখ্যানে দেখাচ্ছিলো, অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দর্শক উপস্থিতি ছিলো ৫০ হাজারেরো বেশি। এই বিপুল পরিমাণ সমর্থককে নিশ্চুপ বানিয়ে দিয়ে আনন্দে ফেটে পড়ে ইতালিয়ান জায়ান্টরা। গুছিয়ে উঠার আগে আরও এক গোল বার্সার জালে। এবার স্কোরশিটে নাম লেখান ডেনজেল ডামফ্রিস। আকের্বির অ্যাসিস্ট থেকে দারুণ এক ওভারহেড কিকে স্তব্ধ হয়ে যায় অলিম্পিক লুইস কোম্পানি অ্যারেনা।


তবে, এবারের বার্সেলোনা একটু আলাদা চরিত্রের। হার বা ভয় সম্ভবত তাদের অভিধান থেকেই কাটা পড়ে গেছে। নাহলে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে জোড়া গোলে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচের এরকম মোর ঘুরানো যায়, তা বিশ্বাস করবে কে? ২৪ মিনিটেই এক গোল শোধ করে দেয় স্বাগতিক দল। একক কৃতিত্বে ইতালিয়ান ডিফেন্সকে নাকানিচুবানি খাওয়ান লামিন ইয়ামাল। নিজের শততম ম্যাচ রাঙান দুর্দান্ত এক গোলে। যা তাকে এমবাপ্পেকে সরিয়ে সেমিফাইনালের সর্বকনিষ্ঠ স্কোরারে পরিণত করেছে।


বার্সেলোনার বিপক্ষে জোড়া গোল করে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ডামফ্রিস।


দুই গোল করে যেন দায়িত্ব শেষ হয়ে গিয়েছিলো ইন্টারের। মাঝ মাঠের দখল হারায় দ্রুতই। বার্সেলোনার আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খেতে থাকে তারা। সেই সুযোগে ৩৮ মিনিটে ম্যাচ সমতায় ফেরায় হ্যান্সি ফ্লিক বাহিনী। রাফিনিয়ার অ্যাসিস্ট থেকে বল জালে পাঠান ফেরান তোরেস। এই অ্যাসিস্টে বার্সা কিংবদন্তী লিওনেল মেসির পাশে বসেছেন রাফিনিয়া। এক মৌসুমে গোল-অ্যাসিস্ট মিলিয়ে তার সংখ্যাটাও এখন ২০।


বিরতি থেকে ফিরে অবশ্য খেলাটাই যেন ভুলে যায় দুই দল। গোল করার চেয়েও, মিস করতেই যেন বেশি মনোযোগী ছিলেন তারা। তবে, এর মাঝেও ম্যাচে তৃতীয়বারের মতো এগিয়ে যায় নেরাজ্জুরিরা। এ যাত্রাতেও লিড এনে দেন ডামফ্রিস।


কিন্তু ম্যাচটাতে যে কাউকেই জিততে দিতে চাননি ফুটবল ইশ্বর। তাই তো, ২ মিনিটেই সমতায় বার্সেলোনা। কর্ণার থেকে উড়ে আসা বলে ডামি করেন ইয়ামাল। রকেট গতির শটে সোমারকে বোকা বানান রাফিনিয়া। স্কোরলাইন ৩-৩।


শেষ পর্যন্ত এই সমতাতেই শেষ হয় সেমিফাইনালে প্রথম লেগ। সব রোমাঞ্চ জমে রইল সান সিরোর জন্য।


thebgbd.com/NIT