গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মন্তব্য করেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিবকে এনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আশ্বাস দিয়ে জনগণের সঙ্গে আইওয়াশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, জাতিসংঘ মহাসচিবকে এনে সরকার বলেছে তারা মানবিক করিডর দেবে ও প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে। এরপর বলা হলো ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত যাবে, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে উল্টো ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর শেষে দেশে যে অর্জন বলে দেখানো হয়েছে, বাস্তবে তা নেই। বরং এখন করিডোর দেওয়ার নামে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে।
রাশেদ খান আরও লেখেন, আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে তাদেরও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে, ফলে অনেক তথ্যই তাদের জানা। তিনি দাবি করেন, কিছুদিন আগে বিজনেস সামিট নিয়ে প্রচুর প্রচারণা চালানো হলেও প্রকৃতপক্ষে বিদেশিরা এখন বড় বিনিয়োগে আগ্রহী নন। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নির্বাচিত সরকার আসার আগে পর্যন্ত বড় কোনো বিনিয়োগ আশা করা যায় না। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার কারণে কিছু অনুদান এলেও বিনিয়োগের সম্ভাবনা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ড. ইউনূস ব্যক্তিগতভাবে সম্মানিত হলেও, তার টিমে দক্ষ লোকের অভাব রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, একজন উপদেষ্টা আছেন যিনি ব্যাংক খাতে অভিজ্ঞ হলেও স্বাস্থ্য খাতে অনভিজ্ঞ, ফলে দেশের চিকিৎসা খাতের অবস্থা নাজুক। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান আরও অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা দলের কয়েকজন সদস্য ‘Refined আওয়ামী লীগ’ গঠনে জড়িত এবং তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সক্রিয় নন।
thebgbd.com/NA