যুদ্ধাবস্থায় থাকা ইউক্রেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন নতুন শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা নিযুক্ত করেছে। ওয়াশিংটন থেকেএএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বৃহস্পতিবার জানায়, জুলি ডেভিস কিয়েভে ‘চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স’ হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ ও সিনেটের অনুমোদনের আগপর্যন্ত তিনিই হবেন ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রতিনিধি।
রুশ ভাষাবিদ ডেভিস সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি সাইপ্রাসে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত এবং কিয়েভে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এ দায়িত্বও বহাল থাকবে।
এর আগে ইউক্রেনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিংক গত মাসে পদত্যাগ করেন। রুশ আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে কিয়েভে প্রায় তিন বছর ধরে কঠিন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাইডেন প্রশাসনের আমলে ইউক্রেনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানালেও ট্রাম্পের প্রশাসনে তিনি একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন—বিশেষ করে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ভর্ৎসনা করার সময় উপস্থিত থাকার ঘটনায়।
ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র একটি খনিজ সম্পদ চুক্তিতে স্বাক্ষরের একদিন পরই জুলি ডেভিসের নিয়োগের ঘোষণা আসে। এ চুক্তিকে কিয়েভ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি বহাল রাখার নতুন উপায় হিসেবে দেখছে—বিশেষ করে এমন প্রেক্ষাপটে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামরিক সহায়তার বিরোধিতা করছেন এবং এমন একটি শান্তি পরিকল্পনার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন যা অনেক ইউক্রেনীয়র কাছে রাশিয়ার পক্ষে ঝুঁকে পড়া বলে মনে হয়।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘জুলি ডেভিস প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পছন্দ।’ তিনি খনিজ সম্পদ চুক্তিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ হিসেবেও উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই অংশীদারিত্ব কল্পনা করেন—মার্কিন ও ইউক্রেনীয় জনগণের মধ্যে—যা ইউক্রেনের টেকসই শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।’
সূত্র: এএফপি
এসজেড