দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে কয়েকটি কার্যকরী পদ্ধতি রয়েছে, যেগুলি প্রাকৃতিক উপায়ে বা পেশাদারী চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি অনুসরণ করতে পারেন:
ব্রাশিং ও ফ্লসিং নিয়মিত করুন
প্রতিদিন অন্তত দু’বার ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করুন এবং প্রতিদিন ফ্লসিং (দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার বা প্লাক পরিষ্কার করা) করুন। এর মাধ্যমে দাঁত পরিষ্কার রাখবে এবং হলদে ভাব কমাতে সাহায্য করবে।
বেকিং সোডা ব্যবহার
বেকিং সোডা একটি প্রাকৃতিক স্ক্রাবার যা দাঁতের ওপর জমে থাকা প্লাক বা দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এক চিমটি বেকিং সোডা আপনার টুথপেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার না করা ভালো, কারণ এটি দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
লেবুর রস ও বেকিং সোডা
লেবুর রসের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যাসিড, যা দাঁতের দাগ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আপনি এক চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক চিমটি বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে দাঁতে ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটি সপ্তাহে এক বা দুইবারের বেশি ব্যবহার না করা ভালো, কারণ লেবুর অ্যাসিড দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
ফ্রুটস ও ভেজিটেবলস খাওয়া
কিছু খাবার যেমন আপেল, গাজর ও সেলারি দাঁতের ওপর জমে থাকা দাগ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এগুলো খাওয়ার মাধ্যমে দাঁত পরিষ্কার হয়ে থাকে এবং হলদে ভাব কমে যায়।
বড়ি বা ধূমপান এড়িয়ে চলুন
সিগারেট বা বড়ি পানের ফলে দাঁতের হলদে ভাব বেড়ে যায়। এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকলে দাঁতের সাদৃশ্য বজায় থাকে।
পেশাদারী পরিষ্কার
যদি দাঁতের হলদে ভাব খুব বেশি হয়ে থাকে এবং ঘরোয়া উপায় কাজ না করে, তাহলে পেশাদার ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে টুথ ক্লিনিং করাতে পারেন। ডেন্টিস্ট বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনার দাঁত পরিষ্কার করবেন, যার ফলে হলদে ভাব দূর হবে।
হোয়াইটেনিং পেস্ট ব্যবহার
বর্তমানে বাজারে হোয়াইটেনিং টুথপেস্টও পাওয়া যায়, যা দাঁতের দাগ দূর করতে সহায়ক। তবে এসব পেস্ট ব্যবহারের আগে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেয়া ভালো।
এছাড়া, আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায় অনুসরণ করতে চান, তবে নিয়মিত পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে দাঁতের হলদে ভাব কমানো সম্ভব।