চিয়া সিড একটি পুষ্টিকর খাবার যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। চিয়া সিড খাওয়ার কিছু মূল উপকারিতা হলো:
ওজন কমাতে সহায়ক
চিয়া সিডে থাকা উচ্চ পরিমাণে ফাইবার শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি পেট ভরা অনুভূতি সৃষ্টি করে, ফলে বেশি খাওয়া কম হয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ
চিয়া সিডে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
হজমে সহায়তা
চিয়া সিডে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখে। এটি পরিপাকতন্ত্রের কাজকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে সাহায্য করে।
রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ
চিয়া সিডে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে, বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এটি উপকারী।
হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করা
চিয়া সিডে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি হাড় শক্তিশালী করতে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
চিয়া সিডের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এনার্জি বাড়ায়
চিয়া সিড শরীরে দীর্ঘস্থায়ী এনার্জি প্রদান করতে সাহায্য করে, কারণ এটি ধীরে ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করা নিঃসরণ ধীর করে।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি
চিয়া সিডে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
কিভাবে খাবেন?
চিয়া সিড সাধারণত জল, দুধ বা অন্য কোনো তরলে ভিজিয়ে খাওয়া হয়। এতে ভিজানোর ফলে এর আকার বড় হয়ে যায় এবং ফাইবারের পরিমাণও বাড়ে। চিয়া সিডটি স্যালাড, স্মুথি, দই বা স্যুপে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
তবে চিয়া সিডের বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়, কারণ অতিরিক্ত ফাইবারের কারণে গ্যাস্ট্রিক বা পেটের সমস্যা হতে পারে। সাধারণত একদিনে ১-২ টেবিল চামচ চিয়া সিড খাওয়া যথেষ্ট।