সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সদ্য অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে আপত্তিকর বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে সংগঠনটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এ দুঃখপ্রকাশ করেন এবং স্পষ্ট করেন, “এই বক্তব্যগুলো হেফাজতের নীতিগত অবস্থানের প্রতিফলন নয়।”
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমাদের মহাসমাবেশে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দুই বক্তা আপত্তিকর শব্দচয়ন করেছেন, যা আমরা সমর্থন করি না। কেউ এতে আহত হলে তাদের প্রতিও আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।”
তবে একইসঙ্গে সেক্যুলার প্রগতিশীল ঘরানার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যারা আলেম-ওলামাদের ‘জঙ্গি’, ‘মৌলবাদী’, ‘ধর্মব্যবসায়ী’ ও ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে আসছেন, তারাও যেন শব্দচয়নে সংযমী হন।”
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের গঠনে ‘ধর্মপ্রাণ নারীদের উপেক্ষা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে হেফাজতের দাবি, “শুধু এনজিওমুখী নারীবাদীদের দিয়ে কমিশন গঠন করে যে প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, তাতে ধর্মীয় নারীসমাজের মতামত বাদ পড়েছে। এ বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “নারীর প্রতি আমাদের ঘৃণার প্রশ্নই আসে না। বরং ধর্মীয় বিধান অনুসারে নারীর ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আমরা সংস্কারের অংশ হতে আগ্রহী।”
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, “আমাদের মহিলা কওমি মাদরাসাগুলোতে প্রতিনিয়ত ছাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। এসব মাদরাসায় শতভাগ বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া ও ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে হাজারো প্রান্তিক নারীকে শিক্ষার আলোয় আনা হচ্ছে। অথচ এসব অবদানের কোনো স্বীকৃতি নেই।”
পশ্চিমা ভাবধারাকে দায়ী করে আজিজুল হক বলেন, “আধুনিক ব্যবস্থায় নারীকে ‘পণ্য’ বানানোর যে সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডা চলছে, তার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ানোয় আমাদের বিরুদ্ধে উগ্র নারীবাদীদের লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে ধর্মীয় ইস্যুতে বাড়াবাড়ি হলে ছাড় দেওয়া হবে না।”
thebgbd.com/NA