পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে ভারতের বিমান হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং অন্তত ৪৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ। আজ বুধবার (৭ মে) সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ভারত আবারও তাদের কাপুরুষোচিত অতীতের পুনরাবৃত্তি করেছে—রাতের আঁধারে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে।’
তিনি জানান, বাহাওয়ালপুরের আহমদপুর ইস্ট এলাকায় একটি মসজিদ লক্ষ্য করে চালানো হামলায় ১৩ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে দুইজন শিশু কন্যাও ছিলেন। মুরিদকে আরেকটি মসজিদে হামলায় তিনজন নিহত এবং একজন আহত হন।
মুজাফফরাবাদে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন এবং একজন মেয়ে ও একজন ছেলে আহত হন। কোটলিতে আব্বাস মসজিদে হামলায় ১৬ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ১৮ বছর বয়সী এক ছেলে নিহত হয়। আহত হয়েছেন এক মা ও তার মেয়ে।
শিয়ালকোট ও শাকরগড় এলাকায়ও হামলা হয়েছে, তবে এসব স্থানে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করে পাকিস্তান ৫টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ধ্বংস হওয়া বিমানের মধ্যে তিনটি রাফাল জেট, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-সিরিজের যুদ্ধবিমান রয়েছে।
ভারত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর একতরফা গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান আইএসপিআর মহাপরিচালক। তিনি বলেন, এ ধরনের গোলাবর্ষণে ইতোমধ্যেই আরও পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ভারতীয় হামলায় নীলম-ঝেলম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নোসেরি ড্যামের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আইএসপিআরের ডিজি জোর দিয়ে বলেন, ‘পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী শক্তিশালী ও প্রয়োজনে আরও কঠোর জবাব দেবে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো আপস করা হবে না।’
thebgbd.com/NIT