ভারতের উসকানিমূলক হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত আগ্রাসন’ বলে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। আজ বুধবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই হামলা আসলে পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে দেওয়া একটি যুদ্ধ, যার জবাব দেশ ইতোমধ্যেই দিতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘ভারত পাকিস্তানের পাঁচটি স্থানে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে। এই যুদ্ধের জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার পাকিস্তানের আছে—আর সেই জবাব এখন চলছে।’
শেহবাজ শরিফ পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা ও সংকল্পে পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করে বলেন, ‘পুরো জাতি সেনাবাহিনীর পাশে আছে। জনগণের মনোবল দৃঢ়, এবং পাকিস্তানের মানুষ ও সেনাবাহিনী জানে কীভাবে শত্রুর মোকাবিলা করতে হয়।’
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘শত্রু তার কোনো কুচক্র বাস্তবায়ন করতে পারবে না। পাকিস্তান কখনো তা হতে দেবে না।’
এদিকে, আজ বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) জরুরি বৈঠক বসেছে। বৈঠকে ভারতের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, বৈঠকে দেশের প্রতিরক্ষা কৌশল ও জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠকে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা, বেসামরিক নেতৃত্ব ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।
সূত্র জানায়, পাকিস্তানের সামরিক প্রস্তুতি, প্রতিরক্ষা নীতি ও শত্রুর সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তৃত পর্যালোচনা চলছে। বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, যেখানে তিনি নাগরিকদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও সরকারের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করবেন।
এর আগে, আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ নিশ্চিত করেছেন, ভারত কোটলি, বাহাওয়ালপুর, মুজাফফরাবাদ, বাঘ ও মুরিদকে এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় শুধুই বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু হয়েছে, কোনো সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানেনি বলে জানা গেছে।
জবাবে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী একটি ভারতীয় ব্রিগেড সদর দফতর ধ্বংস করেছে বলে নিরাপত্তা সূত্র জানায়। দুধনিয়াল সেক্টরে এক ভারতীয় পোস্টও পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস হয়েছে।
thebgbd.com/NIT